Ad Code

Responsive Advertisement

প্রযুক্তির মুল মন্ত্র গোল্ডেন রেশিও(Golden Ratio) দিচ্ছে আল্লাহর অস্তিত্তের প্রমাণ

এই পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র এবং বিশ্বভ্রম্মান্ড সবকিছুই আবর্তিত হয় এক সুশৃঙ্খল নিয়মের মধ্যে দিয়ে । আর সকল সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে নিখুঁত সামঞ্জস্যতা । এই বিশ্বভ্রম্মান্ডের প্রতিটি বস্তুর নিখুঁত অবকাঠামোগত মান হচ্ছে ১,৬১৮ । এই মানকে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও(Golden Ratio)। 



পৃথিবীখ্যাত অনেক গণিতবিদ এই মান নিয়ে গবেষণা করেছেন । তাদের মধ্যে রয়েছেন, পিথাগোরাস, ইউক্লিড, কেপলার, অক্সফোর্ডের পদার্থবিদ রোজার পেনরস এবং প্রাচিন গ্রিসের অনেক বিজ্ঞানী । গোল্ডেন রেশিও মানের প্রয়োগিক ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করেছে । শুধুমাত্র গনিতবিদের কাছেই নয় এর প্রয়োগিক ব্যবহার রয়েছে জীব-বিজ্ঞান, চিত্রশিল্প, সংগীতজ্ঞ, ইতিহাসবিদ এবং পদার্থবিদদের কাছে । ধারনা করা হয়, এই মানকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করা হয়েছে(অন্যান্য যেকোনো মানের চেয়ে)। 

যদি দুটি সংখ্যা a এবং b হয় তাহলে গোল্ডেন রেশিও φ এর সমীকরণ হবে,
φ এর মান বের করার একটা পদ্ধতি হচ্ছে বাম দিকের ভগ্নাংশের সমীকরণ করে । সরলীকরণের মাধ্যমে ভগ্নাংশটি প্রতিস্থাপিত করা হলে b/a = 1/φ হয় । 

সমীকরণটি দাড়ায়,
φ দ্বারা উভয় পক্ষকে গুন করলে আমরা পাই,
যদি সাজিয়ে লিখি তাহলে,
কোয়াড্রেটিক নিয়ম অনুসরন করে আমরা পাই,
 
সমাধানটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত এবং অনুবাদিত । 

বিশ্বভ্রম্মান্ডের স্রষ্টা তার প্রতিটি সৃষ্টিতে এই মান ব্যবহার করেছেন । মানুষের হৃদপিণ্ড, দৈহিক গঠন, ফুল, মাছ, গাছপালা, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি সবকিছুই একই মান(১.৬১৮) দ্বারা গঠিত হয়েছে । 

পৃথিবী বিখ্যাত অনেক স্থাপত্য নির্মাণে এই মান ব্যবহৃত হয়েছে এমনকি মিসরের পিরামিড তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়েছে গোল্ডেন রেশিও সংখ্যা । 

মিসরের পিরামিড 

সৌন্দর্যতাত্ত্বিক ডাঃ স্টিভেন তার ২৫ বছরের গবেষনায় প্রমান করেছেন যে, মানুষের মুখমণ্ডলের প্রতিটি অংশ এবং দেহের আকৃতি নির্মাণেও এই মান ব্যবহৃত হয়েছে । 


 


পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও মক্কায় অবস্থিতঃ 

মক্কা থেকে উত্তর মেরু এবং মক্কা থেকে দক্ষিন মেরুর দূরত্বের আনুপাতিক হিসাব করলে দাড়ায় ১.৬১৮ । যাকে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও । 


গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইটঃ 

দ্বিঘাত সহসমীকরণ অনুযায়ী φ এর ঋণাত্মক বর্গমূল হচ্ছে,
null সংখ্যার এই পরম মানটি বিপরীত ক্রমে দৈর্ঘ্যের অনুপাতের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ (ক্ষুদ্র খন্ডিতাংশের উপর বৃহত খন্ডিতাংশের অনুপাত হচ্ছে b/a) এবং মাঝে মাঝে গোল্ডেন রেশিও কনজুগেইট এর মত নির্দেশিত হয় । এর প্রতীক হচ্ছে বড় হাতের ফাই (Φ) ।
null Φ কে অন্যভাবে প্রকাশ করলে দাড়ায়,
সমাধানটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত এবং অনুবাদিত । 


মক্কাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্টঃ 

আমরা সবাই জানি, পৃথিবীর ভৌগলিক সময় নির্ধারণ করা হয় বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি করে । এবং কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে ভৌগলিক উপাদানের যে বিন্দু নির্দেশিত হয় সেখানেও বিষুব রেখা এবং দাগ্রিমা রেখাকে ভিক্তি ধরা হয় । 


ক্বাবা-ই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট 


কো-অরডিনেট পদ্ধতিতে পুর্ব দাগ্রিমাংশ +৩৯.৮২ এবং উত্তর অক্ষাংশ +২১.৪২ । যা প্রমান করে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও হচ্ছে পবিত্র কাবা ।
৯০+৩৯.৮২ = ১১১.৪২
সুতরাং ১১১.৮২ / ১৮০= 0.৬১…
এবং ১৮০+৩৯.৮২ = ২১৯.৮২
সুতরাং ২১৯.৮২/৩৬০ = ০.৬১….
অতএব, গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান অনুযায়ী মক্কা এবং ক্বাবাই হচ্ছে পৃথিবীর গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট । 

পবিত্র নগরী মক্কার নাম সমগ্র কুরআনে মাত্র একবার উল্লেখিত হয়েছে সুরা আল-ই-ইমরান এর ছিয়ানব্বই আয়াতে । এই আয়াতে মক্কা শব্দটি উচ্চারিত হওয়া পর্যন্ত বর্ণ সংখ্যা হচ্ছে ২৯ টি এবং সমগ্র আয়াতে রয়েছে ৪৭ টি বর্ণ ।
এখন আমরা যদি উক্ত আয়াতটি লিখে ফাইমেট্রিক্স(ফাইমেট্রিক্স হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা ধারা কোন ছবির গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট মাপা হয়) ধারা পরিমাপ করি তাহলে এর মান আসবে, ২৯/৪৭ = ০.৬১…. আর এটাই হচ্ছে গোল্ডেন রেশিও পয়েন্ট Φ এর মান । 

 

এই পৃথিবী, পবিত্র নগরী, পবিত্র গ্রন্থ সবকিছু একই নিয়মের মাঝে গঠিত হয়েছে । সুতরাং আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একজন এবং তিনি নিঃসন্দেহে আল্লাহ । যদি কোন সৃষ্টিকর্তা না থাকত এবং প্রতিটা সৃষ্টি যদি তার নিজের মত করে চালিত হত তাহলে সবার মান সমান হওয়া কখনো সম্ভব হত না ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)