Ad Code

Responsive Advertisement

যে ১০ টি বৈশিষ্ট্য আপনাকে একজন ভালো ফটোগ্রাফার হিসেবে গরে তুলবে !

এখন আমাদের দেশে এই প্রজন্মের তরুনদের মাঝে ফটোগ্রাফিটা পেশা এবং নেশা হিসেবে কতটা জনপ্রিয় তা আর বর্ণনা না করলেও চলবে। আর এই ট্রেন্ড সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে আমাদের দেশের ফটোগ্রাফি সেক্টর টাকেই । এখন তরুনরা ফটোগ্রাফিকেও পেশা হিসেবে নিতে পিছ পাহচ্ছে না । আজকের এই আর্টিকেল একজন ভালো ফটোগ্রাফারের ১০ টি  ১০ টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে । 

১। একটি ভাল ক্যামেরাঃ

ভালো ফটোগ্রাফির মুল উপকরন একটি ভাল ক্যামেরা । আর সাধারনত প্রথমবার ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে সবারই অনেক কনফিউশন থাকে আর অনেকেই ভুল করে এমন কোন ক্যামেরা কিনে ফেলেন যা হয়তো আমাদের কোন কাজেই আসে না। তাই সঠিক ক্যামেরাটা বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর এজন্য দরকার হলে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য  উচিৎ । তাদেরই সাহায্য যারা ইতিমধ্যে ক্যামেরা কেনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আর অনলাইনে আছে নানা রকম রিভিউ। বাজেটের মধ্যে কোন ক্যামেরা কেন ভাল, কোনটা দিয়ে কি করা যায়, কোন লেন্সটা ভাল এসব যাচাই বাছাই করেই ক্যামেরা কেনা উচিৎ। এমনও করতে পারেন, যদি কোন বন্ধুর কাছ থেকে বা কারো কাছ থেকে ক্যামেরা ধার করতে পারেন কয়েকদিনের জন্য, তাহলে, নিজে ক্যামেরা কেনার আগে ধার করা ক্যামেরাটা ব্যবহার করে দেখুন। তাহলে কিছু আইডিয়া আপনার মাথায় চলে আসবে। সব ক্যামেরাই ভাল না আর সব মডেলের ক্যামেরাই সব ফিচার থাকে না। ক্যামেরা কেনার আগে ক্যামেরা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাটা খুব জরুরী।

২। বেসিক ফটোগ্রাফিঃ

ফটোগ্রাফির কিছু বেসিক আছে এবং ফটোগ্রাফি প্র্যাকটিস শুরু করার আগে এসব বেসিক ব্যাপারগুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। যেমন কম্পোজিশন, লাইটিং, ফোকাসিং, সাবজেক্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড, ডেপথ অব ফিল্ড, ফ্রেমিং – ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নিজেই নিজেই আয়ত্ত করে নিতে পারেন। অনলাইনে নানা ওয়েবসাইটে আছে হাজারো টিপস। আর আমাদের এই টেক সাইটেও আছে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি টিউটোরিয়ালস। এগুলোরও সাহায্য নিতে পারেন। শেখার আগে প্র্যাকটিসে না গিয়ে এসব বেসিক ব্যাপারগুলো জেনে নিয়ে এরপর শুরু করলেই ভাল।

৩। প্রস্তুত থাকুন সবসময়ঃ

ভাল ছবি তোলার সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকা আর তার চাইতে বড় ব্যাপার হলো সে জায়গায় হাতে ক্যামেরা নিয়ে রেডি থাকা। নিজের ক্যামারাটি সবসময় বহন করার চেষ্টা করুন আর ব্যবহার করুন। নানা রকম শট নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। শুধু বহন করলেই হবে না।

৪। ছবির জন্য “সাবজেক্ট” খোজা বাদ দিন আর দেখতে শিখুনঃ

চোখ মেলে দেখতে শিখুন। ছবি তোলার জন্য সাবজেক্ট খুজলে আপনি সেই সাবজেক্ট খুজে পাবেন না। চারিদিকে চোখ মেলে ভাল ভাবে অবজার্ভ করতে শিখুন। কোথাও ছবি তুলতে গেলে সেই জায়গাটা ভালভাবে কয়েকবার হেটে দেখুন। চারিদিকে নজর দিন। দেখার চেস্টা করুন জায়গাটির কোন বৈশিষ্ট্য আছে কিনা। এবং কিছু না কিছু পেয়ে যাবেন। কালারগুলোকে খুজে বের করার চেষ্টা করুন। আকাশকে দেখার চেষ্টা করুন নানা এঙ্গেল থেকে। রিপিটিশন এবং রিদম খোজার চেষ্টা করুন। ভালভাবে দেখুন সেই জায়গায় কোন ব্যাপারটা আশে পাশের ব্যাপারগুলো থেকে সম্পুর্ন আলাদা। আলোর খেলাটা দেখার চেষ্টা করুন। ছায়া কিভাবে কিসের উপরে এসে পড়েছে দেখার চেষ্টা করুন। ইমোশন খোজার চেষ্টা করুন। লাইন এবং শেপ খুজে দেখুন। কোন ধরনের টেকচার খুজে পান কিনা দেখুন। সাদাকালো ছবির জন্য কোন শেপ বা কোন বৈশিষ্ট্য খোজার চেষ্টা করুন।

৫। নিজেকে সাধারণ ভাবুন:

নিজের ছবিগুলোকে যতটা সম্ভব সিম্পল রাখার চেষ্টা করুন। সাবজেক্টের যত কাছে যাওয়া যায় যান। নিজের পা এবং যদি জুম লেন্স থেকে থাকে, তাহলে তার সঠিক ব্যবহার করুন। বার বার ভিউফাইন্ডারে দেখে নিজের কম্পোজিশন এবং ফ্রেমকে আরো ফাইন-টিউন করুন। আর ফ্রেম থেকে এমন সবকিছু বাদ দিন যা আপনার সাবজেক্টকে ফুটিয়ে তুলতে কোন দরকার হবে না।

৬। সেরাটি দেখানঃ

সারাদিনে হয়তো শত শত ছবি তুলতে পারেন কিন্তু সবাইকে দেখানোর সময় শুধু নিজের সেরা কাজটাই দেখান। ফেসবুকে ঘন ঘন ছবি আপলোড না করে চিন্তা ভাবনা করে ছবি শেয়ার করুন। আর ফটোগ্রাফি সাইটগুলো যেমন ফ্লিকার বা 500px এসব জায়গায় কোন ভাবে সব ধরনের ছবি শেয়ার করবেন না। দরকার হলে মাসে একটা করে ছবি শেয়ার করুন এবং সেরাটা করুন। এমন ছবি শেয়ার করুন যে ছবি আপনি অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা অর্থ ফুটিয়ে তোলার জন্য তুলেছেন। যা তুলেন তাই শেয়ার করলে একসময় আপনার ছবিগুলো সস্তা হয়ে যেতে পারে আর তার চাইতেও বড় কথা শত সাধারন ছবির মাঝে অসাধারন ছবিগুলো হারিয়ে যাবে, কেউ টেরই পাবে না। সুতারাং এই ব্যাপারটা মাথায় রাখুন যদি নিজের ছবি দিয়ে সবাইকে তাক লাগাতে চান।

৭। সমালোচনা : 

যদিও আমাদের দেশে ছবি শেয়ার করার পর ফেসবুকে বাবা না গ্রুপে গঠনমূলক সমালোচনার এর বদলে একে অপরের উপর আক্রমন হয় খুব বেশী হয়। ভাল সমালোচনা গুলো হজম করার মানুষিকতা থাকতে হবে এগুলোই আপনাকে শেখাবে। অযথা তর্কে জড়িয়ে কোন লাভ নেই। কেউ বাজে কমেন্ট করলেও চুপ করে শুনে থাকুন আর নিজের কাজ নিজেই করে যান। আমি বিশ্বাস করি সবার ছবি কোন না কোন অংশে ভাল কারন যে ছবি তোলে সে কিছু না কিছু মাথায় রেখেই তোলে আর তার ভাবনাটা সবার মাঝে রিফ্লেক্ট করবে না এটাই সবাভাবিক। আমি এ কারনে কখনও কারো ছবিতে সমালোচনা বা কমেন্ট করিনা। তবে এটি আমার ব্যক্তিগত পয়েন্ট অব ভিউ। আপনাদেরটা অন্যরকমও হতে পারে।

৮। অনুপ্রেরণা:

নিজের ছবির একটি ধারা তৈরি করার চেষ্টা করুন। একটা প্যাটার্ন তৈরী করার চেষ্টা করুন। চিন্তা করে দেখুন কোন ধরনের ছবি আপনাকে ইন্সপায়ার করে। 

৯। ছবির গল্পঃ

প্রতিটি ছবিকে একটি গল্প হিসেবে চিন্তা করুন আর ছবি দিয়ে নিজের গল্পটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। ছবিতে যেন থাকে একটি গল্প। হোক সেটা এক লাইনের বা হোক সে কোন প্রবন্ধ। কিন্তু ছবিটে এক্সপ্রেসিভ কিছু থাকতেই হবে। সাবজেক্ট লাইনে আপনার চিন্তার রিফ্লেকশন যেন থাকে। ফ্রেমিং এর ক্ষেত্রে গতানুওগতিক ধারা থেকেও বের হয়ে আসতে পারেন নতুন কোন গল্প ফুটিয়ে তোলার জন্য।

১০। ফটোগ্রাফি কমিউনিটি 

যুক্ত থাকুন অন্যান্য ফটোগ্রাফারদের সাথে। নিয়মিত গ্রুপে পোস্ট করুন। অন্যান্য সমমনা ফটোগ্রাফারদের সাথে ফটো-ওয়াকে বের হোন। সময় নিয়ে তাদের কথা শুনুন। তাদের স্টাইলগুলো নীরবে দেখার চেষ্টা করুন। এরপর নিজেই একটা ট্রেন্ড বানানোর চেষ্টা করুন। কারন লক্ষ ছবির মাঝে আপনার ছবিটি আলাদা হবেই একভাবেই – সেখানে যদি থেকে থাকে আপনার নিজস্ব কোন স্টাইল বা ট্রেন্ড।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্যসমূহ

  1. কিয়াবাত কিয়াবাত কি অসাধারন লেখা রে বাবা......... এত অসাধারন টিপস পাওয়ার পর এখনই ফটোগ্রাফার হতে ইচ্ছে করছে...

    উত্তরমুছুন
  2. ফটোগ্রাফি নামক কঠিন ব্যাপার টা বেশ সহজ হয়ে গেল, অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

    উত্তরমুছুন

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)