মানুষের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া টেনে ধরার পদ্ধতির সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। কথাটা শুনতে সায়েন্স ফিকশন সিনেমার মতো লাগছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা কোনও কল্পকাহিনী নয়। তারা এমন একটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করবে।
রুশ বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে ইঁদুর, মাছ, কুকুরের ওপর নতুন এ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা চালিয়েছেন। এটি প্রয়োগ করে মানুষের আয়ু ১২০ বছর পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব বলে তারা আশা করছেন।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মানুষসহ প্রাণীদেহ। দেহকোষের শক্তির যোগান দেয় মাইটোকন্ড্রিয়া। প্রাণীদেহে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত দেহ কোষের এ অংশ। মানুষের হৃদরোগ, আলঝেইমার বা পার্কিনসন্স রোগও দেখা দেয় মাইটোকন্ড্রিয়ার জন্যই।
মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ম্যাক্সিম সুকুলাচেভ আয়ু বাড়ানোর এ প্রকল্পে কাজ করছেন। তিনি বলেন, 'মানুষকে বুড়িয়ে দেয় যে সব অসুখ তার অনেকগুলো খুবই ধীরে ধীরে দেখা দেয়।'
রুশ গবেষকরা মনে করছেন, তারা দেহের জারন প্রক্রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে এমন এক নতুন পদ্ধতির খোঁজ পেয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় মানুষের আয়ু বেড়ে ১২০ বছর হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। ফলে আয়ু বাড়ানোর বড়ি তৈরি করা হয়ত সম্ভব হবে।
ড. ম্যাক্সিম সুকুলাচেভ বলেন, 'মানুষের আয়ু বেড়ে ৮০০ বছর হবে না কিন্তু ১২০ বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়ানোর চেষ্টাকে যৌক্তিক বলতে হবে।'
রুশ পরীক্ষায় নতুন প্রক্রিয়া ব্যবহারে আয়ু বাড়েনি কিন্তু দেহে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা গেছে। এ প্রক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত বুড়িয়ে যাওয়াকে স্থগিত করে আয়ু বাড়ানো যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji