Ad Code

Responsive Advertisement

ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!

‘নার্সিসিজম (বা Narcissism)’ সম্পর্কে এখন অনেকেই বেশ অবগত। অন্তর্জালে এ বিষয়ক তত্ত্ব ও তথ্যের প্রাচুর্য আপনার আগ্রহকে উষ্কে দেবার জন্য যথেষ্ঠ যা আজ আমাদের অনেকের মধ্যেই বিদ্যমান। নিম্নে প্রমান সহ আলোচনা করছি।  ইংরেজি ভোঁকাবলারিতে এর প্রতিশব্দ হচ্ছে vanity, self-love, self-admiration, self-absorption, self-obsession, conceit, self-centeredness, self-regard, egotism, egoism। মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী এটি এক ধরনের অসুস্থ্যতা বা মানুষিক রোগ, যার কিছু সুস্পষ্ট লক্ষণ ব্যক্তির আচরণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে আচরণগত এসব বৈশিষ্ট্যের বেশ কয়েকটি আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই আছে অর্থাৎ বর্তমানের আমাদের প্রায় প্রত্যেকেই এই মানুষিক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সেটা রোগলক্ষণ কিনা তা নির্ভর করে এসবের মাত্রার উপর। তার আগে নার্সিসিজম (বা Narcissism) আসলে কী তা জানা জরুরী।  ( লেখাটি অনলাইন থেকে সংগ্রহীত, লিখেছেন কাজী শহীদ শওকত।  )

 

ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!
ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!



নার্সিসিজম  (বা Narcissism) রোগের কেতাবি ‘নাম নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিজওর্ডার’ বা ‘এনপিডি’।বাংলায় বলা যেতে পারে ‘অতি আত্ম-প্রেম জনিত ব্যক্তিক আচরণ বিচ্যুতি’। এটিকে শুধু রোগ নয়, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সমস্যা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। মানুষের প্রধান তিন ধরণের নেতিবাচক ব্যক্তিত্বের (dark triad) অন্যতম হলো এই নার্সিসিজম। অন্য দুটি ধরণ হলো ম্যাকিয়াভিলিয়ানিজ্‌ম এবং সাইকোপ্যাথি।  তবে নিজের প্রতি সম্মানবোধ বা নিজের পারদর্শীতার উপর আস্থা কিংবা নিজের অর্জনের প্রতি ভালোবাসা জনিত সাধারণ যে অহম, যা প্রত্যেকেরই থাকে এবং থাকা উচিৎ, তা কিন্তু নার্সিসিজম তথা এনপিডি নয়। এই অক্ষতিকর ব্যক্তিত্ববোধকে ফ্রয়েড নাম দিয়েছেন প্রাইমারি নার্সিসিজম। অবশ্য বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এটি ‘হ্যাল্‌দি নার্সিসিজম’ অর্থাৎ ‘স্বাস্থ্যকর আত্ন-প্রেম’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।


নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি  (বা Narcissism) ডিজওর্ডার (এনপিডি)-এ আক্রান্তদের মধ্যে নিচের সবগুলো বা বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়ঃ

নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি  (বা Narcissism) ডিজওর্ডার (এনপিডি)-এ আক্রান্তদের বৈশিষ্ট্য


নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি  (বা Narcissism) ডিজওর্ডার (এনপিডি)-এ আক্রান্তদের মধ্যে নিচের সবগুলো বা বেশিরভাগ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়ঃ


  •     আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ/সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আত্মকেন্দ্রিকতা
  •     টেকসই সাবলীল সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা
  •     মনস্তাত্বিক সচেতনতার অভাব
  •     অন্যের অনুভূতির বিষয়ে যৌক্তিক ধারণার অভাব
  •     নিজেকে অন্যের তুলনায় সর্বদা উচ্চতর অবস্থানে দেখা
  •     যেকোন অবমাননা বা কল্পিত অবমাননার প্রতি অতি সংবেদনশীলতা
  •     অপরাধবোধে নয়, বরং লজ্জায় বেশি কাতরতা
  •     অসৌজন্যমূলক এবং অবন্ধুসুলভ দেহভঙ্গি
  •     নিজের প্রশংসাকারীদেরকে তোষামোদ করা
  •     নিজের সমালোচকদেরকে ঘৃণা করা
  •     পূর্বাপর না ভেবে অন্যদেরকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেয়া
  •     আসলে যতোটা না, তার চেয়ে নিজেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবা
  •     আত্মম্ভরিতা করা (সুক্ষ্ণভাবে কিন্তু প্রতিনিয়ত) এবং নিজের অর্জনকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে উপস্থাপন করা
  •     নিজেকে বহু বিষয়ের পণ্ডিত মনে করা
  •     অন্যের দৃষ্টিকোণে বাস্তব পৃথিবী কেমন তা অনুধাবণে অসামর্থ্য
  •     অনুতাপ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশে অস্বীকৃতি/অনীহা

 

এদিকে স্বনামধন্য মার্কিন মনোচিকিৎসক এবং মনোবিশ্লেষক ডক্টর স্যান্ডি হচ্‌কিস-এর মতে একজন নার্সিসিস্ট-এর সাত ধরণের আচরণগত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যেগুলোকে তিনি ‘ডেড্‌লি সিন্‌স’ বা ভয়াবহ পাপ নামে অভিহিত করেছেন। এগুলো হলোঃ

‘ডেড্‌লি সিন্‌স’ বা ভয়াবহ পাপ

‘ডেড্‌লি সিন্‌স’ বা ভয়াবহ পাপ

 

  •     লজ্জাশূণ্যতা
  •     অধিভৌতিক ভাবনা
  •     ঔদ্ধত্য
  •     হিংসা
  •     বশ্যতা প্রাপ্তির উচ্চাভিলাস
  •     ঠকবাজি
  •     সীমাহীন অধিকারবোধ


ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!
ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!


  • হেল্‌দি নার্সিসিজম  (বা Narcissism):


এবার আসা যাক ‘হেল্‌দি নার্সিসিজম  (বা Narcissism)’ প্রসঙ্গে। হেল্‌দি নার্সিসিজম হলো নিজের সত্তার এক সুস্থিত সত্য বা সত্যোপলব্ধি, নিজের প্রতি নিজের এবং অন্য বস্তুর আনুগত্য অর্জন, সত্তার স্বাভাবিকতা এবং পরম অহংবোধের সুসংহত অবস্থা, এবং প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা ও উম্মত্ততার মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য। এটি ব্যক্তির মাঝে এক ধরণের অপরিবর্তনীয়, বাস্তবধর্মী স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা এবং পরিণত লক্ষ্য ও বিশ্বাস আর সেই সাথে বস্তু-কেন্দ্রিক সম্পর্ক গঠনের সক্ষমতা তৈরি করে। এটা অনেকটা অনিরাপত্তা ও অপর্যাপ্ততা প্রতিরোধী একধরণের আত্মবিশ্বাস। মানুষের স্বাভাবিক ব্যক্তিত্বের বিকাশে হেল্‌দি নার্সিসিজম অত্যাবশ্যকীয়। এতে আত্মপ্রেম অবশ্যই আছে তবে তা চারপাশের বাস্তবতাকে লীন করে এককেন্দ্রিকতা দেয়না। তাই এটি রোগের কোনো লক্ষণ নয়। এটি মানসিক সুস্বাস্থের সহায়ক।



এটা ঠিক যে, এই এনপিডি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেছেন এবং মতামত দিয়েছেন। আর এভাবেই এর প্রকরণে যোগ হয়েছে নিত্য নতুন মাত্রা। যেমন এই শতাব্দীর একজন খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী সুইজারল্যান্ডের এ্যলিস মিলার, ২০১০-এর এপ্রিলে যার জীবনাবসান হয়েছে, নতুন এক অভিধা যুক্ত করেছেন যার নাম ‘নার্কাস্টিক এ্যবিউজ’ যা দ্বারা শিশুদের উপর বাবা-মা কর্তৃক একধরণের মানসিক নির্যাতনকে বুঝায়। এ্যলিসের ভাষায় এ ধরণের বাবা-মা হলেন ‘নার্সিসিস্টিক প্যারেন্ট্‌স, যারা অল্প বয়ষ্ক সন্তানের স্বতসস্ফূর্ত ইচ্ছের বিকাশকে রুদ্ধ করে নিজেদের সম্মান বৃদ্ধির প্রয়োজনে, কিংবা নিজেদের অপূর্ণ ইচ্ছেকে সন্তানের ভেতর বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে যেকোন চেষ্টায় পিছপা হননা। মূলত, বাবা-মা নিজেদের স্বপ্নের স্বাদ ঘোলে মেটানোর আশায় তারা সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন তাদের রচিত স্বপ্ন নামক নিষ্ঠুরতা। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরণের বাবা-মার সাথে শীঘ্রই সন্তানের দূরত্ব তৈরি হয়, আর তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো সন্তানের ভেতর আত্ন-হনের প্রবণতা তৈরির সম্ভাবনাও কম নয়।

    কর্পোরেট নার্সিসিজম    কর্পোরেট নার্সিসিজম    কর্পোরেট নার্সিসিজম

কর্পোরেট নার্সিসিজম


  • কর্পোরেট নার্সিসিজম

 কর্মক্ষেত্রেও নার্সিসিজমের উপস্থিতি লক্ষনীয়, যা কর্মচারী এবং মালিক উভয়ের মাঝেই থাকতে পারে। একে বলা হয় কর্পোরেট নার্সিসিজম। যে মালিকের কাছে প্রফিট-ই একমাত্র লক্ষ্য, কিন্তু কর্মচারীর সুবিধা-অসুবিধা, স্বাস্থ্য এবং ঝুঁকির বিষয়টি কখনোই তার মাথায় আসেনা—তিনি আসলে নার্সিসিজমের শিকার। মালিক রোগীর এধরণের সংকীর্ণ মানসিকতা স্বল্পমেয়াদে বেশ সুবিধা বয়ে আনলেও আখেরে প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে একজন নার্সিসিস্ট কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগে অদক্ষ হয়ে থাকেন। আর তার অতি সংবেদনশীলতা তাকে একসময় সন্ত্রস্ত করে তোলে। প্রায়শঃ তিনি সহকর্মীদের স্বাভাবিক ব্যবহার/আচরণকেও ভুল বুঝে কষ্ট পান এবং খুব সজেই অনেক বেশি আক্রান্ত বোধ করেন। ফলে কর্মক্ষেত্রে তার নিজের উৎপাদনশীলতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়, যা তার অবস্থান এবং আত্মসম্মানবোধকে আরও বেশি আহত করে।

 
হেল্‌দি নার্সিসিজম  (বা Healthy Narcissism):

হেল্‌দি নার্সিসিজম  (বা Healthy Narcissism)


  • হেল্‌দি নার্সিসিজম  (বা Narcissism):


‘কনভার্সেশনাল নার্সিসিজম ( বা Narcissism)’ বলতে কথোপকথনের সময় আত্মমগ্নতার এক বিশেষ প্রকাশকে বুঝায়। এটা সাধারণত বন্ধু-বান্ধব, নিকট আত্নীয়-স্বজনদের মাঝে কথা বলার সময় এই আচরণ খুব সহজে পড়ে। একজন নার্সিসিস সাধারণত কারও সাফল্য কিংবা আনন্দের গল্প শুনতে আগ্রহী নন, বরং অন্যের কথা বলার সময় নিজেরটা চাপিয়ে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেন। অন্যের কাছ থেকে নিজের প্রশংসা শোনার জন্য ভীষণ ব্যাকুলতা থাকেন তিনি, এবং প্রশংসাকারী ব্যাতীত অন্য কারো গুণের কথা সাধারণত তিনি স্বীকার করেননা এবং তাদের সাথে তার সখ্যও হয়না। নিজের প্রাপ্তি আর সম্ভাবনার কথা প্রচার করতে এ ধরণের রোগী এতো মরিয়া হয়ে উঠেন আর বিষয় বর্ণনায় এতো অতিরঞ্জন করে থাকেন যে অন্যেরা বিরক্ত হতে বাধ্য হন। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মোল্লা, আইনজীবিদের অনেকের মাঝে এই ধরণের প্রবণতা সহজেই চোখে পড়ে। সমালোচনাকারী আর শত্রু এদের কাছে সমার্থক। এরা সাধারণত আত্মসমালোচনা করতে অপারগ। আত্নম্ভরিতার চর্চায় স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কোনো কিছুকে বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে এরা সবার অলক্ষ্যে অনেকটা প্রতিবন্ধী হয়ে সমাজে বাস করতে থাকেন, বিনা চিকিৎসায়।

ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!
ভয়ংকর রোগ নার্সিসিজম (বা Narcissism) এ আক্রান্ত দেশের অধিকাংশ মানুষ!
  • সেক্সুয়্যাল 'নার্সিসিজম ( বা Narcissism):


‘সেক্সুয়্যাল নার্সিসিজম ( বা Narcissism)' বলতে নিজের যৌনতা কিংবা প্রেমিক-সত্তার সক্ষমতাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সব সময় নিজেকে কল্পনা করার প্রবণতাকে বুঝায়। কল্পনার এই নিমগ্নতা খুব দ্রুত দেহ-ভঙ্গি বা অন্যান্য বাহ্যিক আচরণে প্রকাশ পেতে থাকে। ছেলেদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ধরণের নার্সিসিস্টরা প্রেমকে যৌনতার প্রাপ্তি দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করে। এর ফলে এরা সত্যিকারের আত্মিক সম্পর্কের চর্চার ব্যাপারে উদাসীন থাকে। নানাবিধ যৌন বিকার, নারীর উপর যৌন-নির্যাতন, পারিবারিক নির্যাতনের কারণ হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই সেক্সুয়াল ''নার্সিসিজম ( বা Narcissism)' দায়ী বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা।

 
রোগের কবল থেকে বাঁচার উপায়
রোগের কবল থেকে বাঁচার উপায়, সেলফি থেকে দূরে থাকুন!

  • রোগের কবল থেকে বাঁচার উপায়:

এখন প্রশ্ন হলো এই রোগের কবল থেকে বাঁচার উপায় কী? এ ব্যাপারে প্রথমেই বলতে হয় যে, এটি নিজে নিজে সারানো বেশ মুশকিল। প্রথমত, এটা অনেকগুলো আচরণগত বৈশিষ্ট্যের সমম্বয়ে সৃষ্ট এক ধরণের জটিল সমস্যা, যা হুট করে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে দূর করা সম্ভব নয়, যেখানে ধূমপানের মতো অভ্যাসকে ত্যাগ করাটাই অসম্ভব মনে হয় ধূমপায়ীর কাছে। দ্বিতীয়ত, আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ সম্পর্কিত সচেতনতার মানে এই নয় যে তিনি বুঝে গেছেন করণীয় কী, কারণ রোগের ধরণ অনুযায়ী প্রতিকারের উপায় সচেতনতা দিয়ে জানা সম্ভব নয়—এজন্য দরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদারী অভিজ্ঞতা। সেজন্য  একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট/থেরাপিস্ট-এর বিকল্প খুঁজতে যাওয়া নিতান্তই অনর্থক। তবে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে, দুঃখকে বুঝবার এবং মনোযোগি শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করা, নিয়মিত আত্ম-সমালোচনা করা, বই পড়া, নতুন বন্ধু তৈরি করা এবং সামাজিক কাজকর্মে খোলা মন দিয়ে অন্যদের সাথে অংশগ্রহণ করা, ইত্যাদি এই রোগের নিরাময়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে থাকে। আসুন আমারা ''নার্সিসিজম ( বা Narcissism)'' থেকে নিজেরা দূরে থাকি, অন্যদেরকেও দূরে রাখি।

লেখাটি অনলাইন থেকে সংগ্রহীত, লিখেছেন কাজী শহীদ শওকত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ