Ad Code

Responsive Advertisement

চ্যাম্পিয়ান ট্রফির খেলা নিয়ে এখনই নিশ্চত হওয়া যাচ্ছেনা।

চ্যাম্পিয়ান ট্রফি খেলা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয় বাংলার টাইগারদের।

চ্যাম্পিয়ান ট্রফির খেলা নিয়ে এখনই নিশ্চত হওয়া যাচ্ছেনা।
চ্যাম্পিয়ান ট্রফির খেলা নিয়ে এখনই নিশ্চত হওয়া যাচ্ছেনা।


ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন—আনন্দে মাতার দুটি উপলক্ষ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে। সিরিজটা যাও-বা মুঠোয় এল, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে নিশ্চিত থাকা যাচ্ছে কোথায়? চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা।

সর্বশেষ আইসিসির র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান এখন সাতে। র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম দল হিসেবে শুধু লড়াই হওয়ার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু এখন বাংলাদেশই পড়ে যেতে পারে অনিশ্চয়তার মধ্যে। আগস্টে জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচ সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এখন পরিকল্পনা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের।

জুলাইয়ে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। পাকিস্তান খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। এ সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে কোনো ম্যাচ না জিতলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে চিন্তার কিছু থাকবে না। কিন্তু কপালে ভাঁজ উঠবে তখনই, যদি জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করে।

বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে, তাহলে রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৯। যদি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ, তাহলে রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬। যদি সিরিজে একটি মাত্র ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ, তাহলে রেটিং পয়েন্ট হবে ৯২.৭। আর যদি বাংলাদেশ সিরিজে কোনো ম্যাচই না জিততে পারে তাহলে হবে ৮৯.৮। অন্য দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৮৮.৪। ক্যারিবীয়রা আর কোনো ম্যাচ না খেললে বাংলাদেশের চিন্তার কোনো কারণ নেই। ত্রিদেশীয় সিরিজটা যদি সত্যিই হয়, সে ক্ষেত্রে কী হতে পারে?

জুলাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে লঙ্কানদের ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাতে পারলে পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৪। যদি পাকিস্তান ৪-১ ব্যবধানে জয়ী হয়, তাহলে রেটিং পয়েন্ট হবে ৯১.৭। ৩-২ ব্যবধানে জিততে পারলে রেটিং হবে ৮৯.৮। আর যদি শুধু মাত্র দুইটি ম্যাচ জেতে, তাহলে হবে ৮৭.৮। যদি একটি মাত্র ম্যাচ জয় পায়, পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট দাঁড়াবে ৮৫.৯। যদি কোনো ম্যাচেই জয় না পায়, তাহলে পাকিস্তান ৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়া থেকেই ছিটকে পড়বে। পাকিস্তান অন্তত তিন ম্যাচ জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে চলে যাবে। সিরিজ হারলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে।

আলোচিত ত্রিদেশীয় সিরিজ হলে, প্রত্যেক দল প্রত্যেকের সঙ্গে দুটি করে মোট চারটি ম্যাচ খেলবে এবং সেরা দুইটি দল খেলবে ফাইনাল। পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যায়, তাহলে পাকিস্তান বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে কেউ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একটি ম্যাচ হারলেই দুই দলের কেউ বাংলাদেশের ওপরে যেতে পারবে না। তবে প্রথম পর্বে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ একে অপরের সঙ্গে একটি করে জিতলে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাইনালে জিতলে দুই দলই বাংলাদেশের আগে চলে যাবে। তবে সেটা তখনই সম্ভব হবে, যদি বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে এবং শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়। বাংলাদেশ যদি এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতে যায়, তাহলে ওই ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়েও বাংলাদেশকে আটকাতে পারবে না। তখন এক ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং থাকবে ৯৩ পয়েন্ট। বাংলাদেশকে ধরতে পাকিস্তান যদি দারুণ খেলে, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পিছিয়ে যাবে। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক ভালো খেললে পাকিস্তান পিছিয়ে যাবে। কাজেই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শুধুমাত্র একটি ম্যাচ জিততে পারলেই বাংলাদেশের আর কিছু ভাবতে হবে না।

আবার এই ত্রিদেশীয় সিরিজ না হওয়ার যুক্তিও দেখা যেতে পারে। পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ জিতে যায়, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে তারাই আট নম্বরে চলে আসবে। তখন আর পাকিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে চাইবে না। আবার পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা সিরিজ হারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যাবে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার ঝুঁকি নিতে চাইবে না।

এমন দোলাচলের মধ্যে থাকতে না চাইলে, বাংলাদেশকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুধু একটা ম্যাচ জিতলেই হবে। তখন ত্রিদেশীয় সিরিজ হলেও বাংলাদেশের জন্য সেটা তেমন গুরুত্ব বহন করবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ