সহজেই স্মার্টফোনে আসক্ত কিনা তা বোঝার কিছু সহজ উপায়।
smartphone-a asokto kina bujar upay |
বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ পাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে আর তাই স্মার্টফোনের ব্যবহার দিন দিন যত বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়ার পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্মার্টফোন ব্যবহার করা মন্দের কিছু নয় কিন্তু এতে আসক্ত হয়ে যাওয়া ভয়ংকর হয়ে দাঁড়ায় নিজের জীবনে কারণ ডাক্তারি ভাষায় স্মার্টফোনে অতি আসক্তি একধরণের রোগ যা জীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। বিজ্ঞনীদের মতে, যারা মোবাইল হাতে না থাকলে অস্থির হয়ে যায় তার নোমোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত। আর তাই মূলত সবার আগে জেনে নেয়া উচিত যে কিভাবে বোঝা সম্ভব যে নিজেই স্মার্টফোনে আসক্ত কিনা?
স্ট্যাটাস না দিতে পারলেই হতাশা বৃদ্ধি পাওয়া :
স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার পিছনে কয়েকটি মূল কারণের মাঝে একটি হচ্ছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন ‘স্ট্যাটাস’ দেয়া যায়। প্রতিদিন নিয়মিত স্ট্যাটাস দেয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয় ফলে যেদিন ইন্টারনেট না থাকলে বা স্মার্টফোনে চার্জ না থাকলে ইত্যাদি যেকোন কারণে যদি স্ট্যাটাস না দিতে পারে তাহলে মনে হয় কেয়ামত নেমে এসেছে যা নোমোফোবিয়ার আরেকটি লক্ষ্যণ।
smartphone-a asokto kina bujar upa |
ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই আতঙ্কিত হয়ে যাওয়া:
আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তাঁরা কিছু মানুষের উপর স্মার্টফোনের আসক্তির এমন তীব্রতা লক্ষ্য করেছেন যা রীতিমতো বিস্ময়কর ব্যাপার। তাঁরা দেখেছেন যে, অনেকের মাঝেই মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যেন মোবাইল সাথে নিজের প্রাণের মত চার্জ চলে গেলেই জীবন শেষ।আর এমন প্রবণতা যার মাঝে আছে সেই নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ধরা হয়।
অতিরিক্ত ইন্টারনেট-নির্ভরতা :
ইন্টারনেটের সহজলব্যতা যেন এই পর্যায়ে পৌছেছে যে কেউ ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে নারাজ। যখনই দেখতে পায় যে স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তখনই ওয়াই-ফাই জোন-এ যাওয়ার জন্য হা-হুতাশ শুরু করে দেয় তারা। এটিও নোমোফোবিয়ার একটি লক্ষণ বলে ধরা হয়৷
ইন্টারনেটের বিকল্প কিছু না ভাবা:
বর্তমানে কেউ কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানে ইন্টারনেট আছে কিনা তা জানতে চায় যা সরাসরি নোমোফোবিয়ায় আসক্তির প্রমাণ দেয়।
রিচার্জ করতে না পারলে হাইপার হয়ে যাওয়া:
প্রি-পেইড সিম ব্যবহার করেন যারা এমন অনেকে ফোনের ‘ক্রেডিট’ শেষ হয়ে গেলে ফোন বা এসএমএস করার উপায় আর থাকে না ফলে আশপাশে রিচার্জ করার উপায় না থাকলে খুব তাড়াতাড়ি হাইপার হয়ে যায় যা নোমোফোবিয়ার লক্ষ্যণ।
ঘুমের সময় স্মার্টফোনকে খোজা:
স্মার্টফোনে অভ্যাস্ত এমন অনেককেই দেখা যায় যে তারা রাতে ঘুমানোর সময় তাদের একটি হাত স্মার্টফোনের উপর না দিলে তাদের ঘুম আসেনা। এই আসক্তি যার মাঝে আছে বুঝতে হবে সে প্রকটভাবে নোমোবিয়ায় অভ্যাস্ত।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji