Ad Code

Responsive Advertisement

দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে ইন্টারনেট স্পিড কারণ যুক্ত হচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল।(Second submarine cable is coming), প্রতিবেদন, প্রযুক্তি কথন, নির্বাচিত

বাংলাদেশে যুক্ত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল 

Second submarine cable is coming
Second submarine cable is coming


বাংলাদেশে সম্প্রতি যুক্ত হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ। এই সংযোগটির ফলে একদিকে ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথ চাহিদা মাটানো যাবে ঠিক অন্যভাবে ক্যাবল সংযোগ নিরবিচ্ছিন্নও রাখা যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছে সরকার। এই প্রকল্পটি অনুমোদিত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় এবং এর নামকরণ করা হয় ‘আঞ্চলিক সাবমেরিন টেলিযোগাযোগ প্রকল্প, বাংলাদেশ’ নামে। প্রকল্পটির বাজেট ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা যার এরই মাঝে সরকারি অর্থায়ন ১৬৬ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থ ১৪২ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৩৫২ কোটি টাকা।

এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ফলে আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশের আর বিচ্ছিন্ন হতে হবে না ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের ।বাংলাদেশ সর্বমোট ১৩০০ জিপিএস সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথ পাবে।

উক্ত সভার বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন যে, মঙ্গলবার মোট অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১০টি প্রকল্পের। যার মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৬৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আর এরই মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং এই প্রকল্পটির সাহায্য পাওয়া যাবে ৬৮১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরো বলেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশ কেবল একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলো আন্তর্জাতিক তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়ক কনসোর্টিয়ামের আওতায়। যার ফলে এই ক্যাবলটি কোন কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পুরো ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো ফলে ব্যবহারকারীদের পরতে হতো অসহনীয় দুর্ভগে আর তাই বিকল্প হিসেবে এই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটি সংযোগ করা। বর্তমান ক্যাবলটি ২০,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই ক্যাবল্টির সঙ্গে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ইউরোপের ১৪টি দেশের মোট ১৬টি টেলিকম কোম্পানী যুক্ত আছে। সমস্যা হলো এ কেবলটি কোন কারণে কাটা পড়লে বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দিলে ৭ থেকে ১০ দিন লেগে যায় তা মেরামত করতে। ফলে, বাধাগ্রস্থ হয় তথ্য প্রযুক্তির কার্যক্রমে । মূলত এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতেই আমরা ব্যাকআপ হিসেবে নতুন ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পটি হাতে নেয়ার ফলে আমরা আরো ১৩০০ জিপিএস সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথ পাবো বলে আশা করছি যা মূলত ১০  গুণ বেশি শক্তিশালী বর্তমান কেবলের থেকে।

মন্ত্রী আরো বলেন যে, এ সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রাউন্ড লোকেশন ঠিক করা হয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায়।

পরিকল্পনা মন্ত্রী সবশেষে বলেন, এ প্রকল্পের ফলে একদিকে যেমন ডেটা ও ভয়েসের ক্ষেত্রে দেশের ব্যান্ডউইথ চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি এর পাশাপাশি সরবরাহের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে যার ফলে সম্ভব হবে দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে।এমনকি ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানো যাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে ইন্টারনেটের ক্যাপাসিটি ও স্পিড দুটোই।

আশা করি পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ