Ad Code

Responsive Advertisement

৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলা

 আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫ মেলা। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন করবেন।



সোমবার  বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী জানান, 'এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলায় সফট এক্সপো' ই-গভর্ন্যান্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো, ই-কমার্স এক্সপো ও বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট কনফারেন্সসহ মোট পাঁচটি প্রদর্শনী, সেমিনার, কর্মশালা ছাড়াও আইটি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।

 তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫ আকর্ষণীয় ও অর্থবহ করতে আই.সি.টি খাতের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এ ডাকে সাড়া দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯ দেশের ৮১ জন বিদেশি বক্তা তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। তারা আমাদের কর্মশালা ও সেমিনারে অংশ নিয়ে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ার পাশাপশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এগিয়ে যাওয়া, অর্জন ও সামগ্রিক কার্যক্রম স্বচক্ষে পর্যবেক্ষণ করবেন। এতে করে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে আমরা আরো বড় পরিসরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহযোগিতায় এ আয়োজনে অন্যদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বি.ডব্লিউ.আই.টি)।

ইনু বলেন, এবারে এগিয়ে এসেছে চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সি.টি.ও) ফোরাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি,  বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বি.আই.জে.এফ) এবং টাই’র মতো প্রতিষ্ঠান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো প্রথমবারের মত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স সংযোজন করা হয়েছে। টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ প্লাটফরম, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আই.টি.ইউ) সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিন ঝাও মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এবারের ডিজিটাল মেলায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সারাদেশের সাত বিভাগ থেকে সাতটি হাসপাতাল, সাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাত জেলা প্রশাসন, সাত উপজেলা প্রশাসন, সাত পুলিশস্টেশন, সাত পৌরসভাসহ একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সিটি কর্পোরেশন, পাবলিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একটি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বমোট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।

তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য যথাক্রমে সাতটি বেস্ট ডিজিটাল হাসপাতাল, সাত বেস্ট ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল জেলা প্রশাসন, ৭টি বেস্ট ডিজিটাল উপজেলা প্রশাসন, সাত বেস্ট ডিজিটাল পুলিশ স্টেশন, সাত বেস্ট ডিজিটাল পৌরসভা, একটি বেস্ট ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি বেস্ট ডিজিটাল সিটি কর্পোরেশন, পাবলিক সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থা থেকে একটি বেস্ট সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পুরস্কারের জন্য সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানের মনোনয়ন দেবে স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। সিটিজেন সার্ভিস অ্যাওয়ার্ডের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বেসিসের জুরি বোর্ড।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ