Ad Code

Responsive Advertisement

২০১৬ সালের ভিতরে বাংলাদেশে 4G আনার ঘোষণা

 প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০১৬ সালের মধ্যে ফোরজি নিলাম হবে। বর্তমান সরকারের আমলেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বি.সি.সি) মিলনায়তনে কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৫ হাজার ট্যাব বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সরকার ২০০০ কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করবে। দেশের প্রতিটি মানুষকে যেন সরকারি সেবা পেতে কষ্ট না হয় সেজন্যই কাজ করা হচ্ছে। সরকারি সেবা যতো ডিজিটালাইজড হবে ততো দুর্নীতি কমে আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কাজেও আমরা প্রায় সফল হয়েছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জয় বলেন, ছয় বছর আগে ডিজিটাল বলে কিছু ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন পুরস্কার আমরা পেয়েছি। দুই লাখ সরকারি ডাটা রয়েছে। এখন তাই সাইবার সিকিউরিটির ওপর সবার আগে গুরুত্ব দিতে চাই। তাহলে দেশ সব সময় এগোতে থাকবে। আর নাহলে এগুলোকে রক্ষা করা যাবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের ২৫ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে ট্যাব দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ১৮ হাজার ট্যাব বিতরণ করা হয়। বক্তব্য শেষে সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে ট্যাব তুলে দিয়ে এ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয় বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার জনমানুষের উন্নয়নে এবং ২০২১ সালের মধ্যে একটি ক্ষুধা, দুর্নীতি ও দারিদ্রমুক্ত এবং আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার যে মহান ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুরুতে অনেকের কাছে নানা ধরণের সংশয় থাকলেও আমাদের সরকারের যুগোপযোগী কর্মকান্ড ও জনগণের নি:শর্ত সমর্থনে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আজ অনেক পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা ঘোষিত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য “আইসিটি পলিসি-২০০৯” প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের যে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি সৃষ্টি, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস চালুকরণ, সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, বাংলা গভনেট ও ইনফো সরকার ফেজ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ১৮,১৩২ টি সরকারি অফিসকে একটি অভিন্ন নেটওয়ার্কের আওতায় আনয়ন, সব সরকারি সেবাকে আরো জনবান্ধব করার জন্য এবং আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে আরো ব্যপক আকারে প্রচারের জন্য সারাদেশের প্রায় ২৫,০০০ সরকারি ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েবপোর্টাল “জাতীয় তথ্য বাতায়ন” উদ্বোধন, প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও ২৩,৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালুকরণ ইত্যাদি নানাবিধ উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হয়েছি।

জয় বলেন, কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক ও যশোর হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ যা বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুসংহত করার জন্য "Learning Earning Development Project", আমাদের আগামী প্রজন্মকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করে তোলার জন্য “ফাস্ট ট্র্যাক ফিউচার লিডার” প্রশিক্ষণসহ Top-Up IT Training ITES Skill Foundation Training চলমান রয়েছে, ক্রম বর্ধমান ব্যান্ডউইড্থের চাহিদা মেটানোর জন্য দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে, আগামী বছরের প্রথমার্ধে এই সাবমেরিন কেবলের সাথে সংযুক্ত হতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। আগামীতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের পাশ Tier-4 Data Center এবং হাই-টেক পার্ক প্রাঙ্গনে বিশ্বমানের Digital University স্থাপন করা হবে।

এরপর সজীব ওয়াজেদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, জীবনের পরিবর্তন আনার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে। এসব ট্যাব মানুষের জন্য ব্যবহার করবেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বি.টি.আর.সি) এর চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ