Ad Code

Responsive Advertisement

শুরু হয়ে গেছে ড্রোন এর যুগ, এই যুগে ড্রোন এর কিছু ব্যাবহার

 

নতুন বছরে প্রযুক্তি বাজারে ড্রোনের লক্ষ্যণীয় বিবর্তন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘ড্রোন’- ক্যামেরাযুক্ত রিমোট কন্ট্রোল উড়নযন্ত্র। যা সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে।

 

তবে নতুন বছরে ড্রোনকে ব্যবসায়িক রূপ দিতে চাইছে অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহারের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর একটিই কারণ, এটির সঙ্গে যুক্ত ক্যামেরার সাহায্যে যত্রতত্র ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব। যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে থেমে নেই প্রযুক্তি উন্নয়ন কোম্পানিগুলো। লাস ভেগাসে কনজুমার ইলেক্ট্রনিকস শোয়ে বিভিন্ন ধরণের ড্রোন প্রদর্শন করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে, অতিক্ষুদ্র ড্রোন, গোলাপী ড্রোন, সেলফি ড্রোন, মিলিটারি ড্রোন এবং স্বয়ংক্রিয় ড্রোন।

ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে ব্যবসায়িক ড্রোনের বাজার ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নিত হবে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই বাজারের আকার শত কোটি ডলার ছাড়াতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। এরই মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোনকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য ২০০টি কোম্পানি দেশটির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। তারাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানা গেছে বিবিসির এক খবরে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দ্যেশ্যে নতুন বছরে কী কী ড্রোন বাজারে আসতে পারে। চাইলে অাপনি অাপনার পছন্দের ড্রোনটি বেছে নিতে পারেন।


সেলফি ড্রোন: সেলফিপ্রেমীদের যতই ‘মানসিক রোগী’ বলুন না কেন নিজের একটি ভালো ছবি কে না চায়। আর অন্যের ক্যামেরার সামনে সারাক্ষণ পোজ দিতেও ভালো লাগে না অনেকেরই। সমস্যা হয় কাঙ্ক্ষিত ছবিটির ধারণা বোঝাতেও। তাই এবার চলে এসেছে সেলফি ড্রোন। হেক্সো প্লাস নামক একটি কোম্পানি এই ড্রোনটি তৈরি করছে। প্রস্তুতকারকদের তথ্যানুযায়ী, এই ড্রোন স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ব্যবহারকারীর মাথার ৬০ মিটার বা ২০০ ফুট ওপর থেকে ছবি তুলতে সক্ষম এই ড্রোন। মোবাইলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি মাটিতে নেমে আসবে। এই ড্রোনের উড্ডয়নকাল হবে ১৫ মিনিট। দাম দেড় হাজার ডলার।

পিংক বা গোলাপী ড্রোন: অনেকের ধারণা, ড্রোন কেবলমাত্র পুরুষের জন্য। তবে ই-হ্যাং কোম্পানি এই ধারণায় পরিবর্তন এনেছে। অনেক নারী পর্বতারোহী ও সার্ফারের অনুরোধে তারা তৈরি করেছে গোস্ট নামের পিংক বা গোলাপি ড্রোন। সার্ফিং ও পর্বতারোহনের সময় এই ড্রোন ছবি ও ভিডিও ধারণে সক্ষম। এটির উড্ডয়নকাল ৩০ মিনিট।

ক্ষুদ্র ড্রোন: ড্রোনের মধ্যেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ক্ষুদ্রতার প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় নতুন সংযোজন এক্স-৩। যদিও এটি ক্ষুদ্রতম ড্রোন নয় তবুও এটির আকার মানুষের হাতের তালুর সমান। এই ড্রোনটি তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র খেলনা হিসেবে। এতে নেই কোনও ক্যামেরা। দাম ২০০ ডলার। এই ড্রোন দিয়ে অফিসে অনায়াসেই ভয় দেখানো যাবে সহকর্মীদের।

ড্রোন স্টিক: ড্রোন যখন নানাবিধ বিধিনিষেধের জটিলতায় আটকা তখন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে ড্রোনের বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে। নাম ড্রোন স্টিক। এখনও পণ্যটি প্রোটোটাইপ হলেও বেশ কার্যকরী বলে নিজেকে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে। এই স্টিকের মাঝে ক্যামেরাটি দিয়ে ফোনের মনিটরে ছবি বা ভিডিও করা সম্ভব। স্টিকের রেঞ্জ এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)