Ad Code

Responsive Advertisement

ফ্রিল্যান্সিং-এর গুরুত্তপুর্ণ টিপসগুলো

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি শব্দ। যারা অনলাইনে আয় করতে চান তাদের জন্য সব থেকে ভাল পদ্মতি হল ফ্রিলেন্সিং। আপনি যদি খুব ভাল আর্টিকেল লিখতে পারেন(অবশ্যই ইংরেজিতে), যদি খুব ভাল ডিজাইন করতে পারেন, অথবা প্রোগ্রামিং এ পারদর্শী হয়ে থেকে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যমে আপনিও অনলাইনে আয় করতে পারবেন। অনলাইনে আয়ের জন্য অনেক ধরনের পদ্মতি আছে, তবে নিরাপদ, সঠিক এবং সুনিশ্চিত অর্থ প্রাপ্তির জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। 

ফ্রিল্যান্সিং-এর গুরুত্তপুর্ণ টিপসগুলো


ফ্রিল্যান্সিং  এর কাজের জন্য অনেকগুলো ওয়েব সাইট রয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে ভাল সাইটগুলো হলঃ odesk.com. vworker.com, freelancer.com । এই সাইট গুলোর সবগুলোই আপনাকে অর্থ প্রাপ্তির ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করে থাকে। তাই কাজ ঠিক মত করে দিতে পারলে , টাকা পেতে আপনার কোনই সমস্যা হবে না। তবে যেকোন সাইটে কাজ শুরু করার পুর্বে সেই সাইটের নিয়ম-কানুন, বাংলাদেশে অর্থ প্রাপ্তির পদ্মতি সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে তার পরে কাজ শুরু করলে ভাল হয়। odesk.com. vworker.com, freelancer.com এই তিনটি ওয়েব সাইট বাংলাদেশে পেমেন্ট প্রদান করে থাকে। ব্যাংক ট্রান্সফার, মানিবুকার্স, পে-ওনিয়ারের মাধ্যমে আপনি টাকা দেশে আনতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং  এর সব থেকে বড় সুবিধা হল- আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন এবং সেটাও আপনার পছন্দীয় সময়ে। আহা… ভাবতেই ভাল লাগে…। কেউ আপনার উপরে জোর করে কিছু চাপিয়ে দিতে পারবে না। অর্থ্যাৎ আপনিই আপনার ইচ্ছা মত সব কিছু সাজিয়ে গুছিয়ে করার পুর্ন স্বাধীনতা পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে।


সময়ই হল ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে গুরুত্বপুর্ন মুলধনঃ  

একজন্ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার কাছে সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপুর্ন মূলধন হল “সময়”। ফ্রি-ল্যান্সারদের সব সময় মনে রাখতে হবে, “আপনি আপনার সময় ক্লায়েন্ট  এর জন্য ব্যয় করছেন, অতএব ক্লায়েন্টকে অবশ্যই এর জন্য সঠিক এবং উপযুক্ত মুল্য প্রদান করতে হবে”।
এখানে বলে রাখা ভাল – কাজ পাওয়ার আগে অনেক ক্লায়েন্ট ডেমো দেখতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার পুর্ববর্তী কাজের লিঙ্কগুলো তাকে দেখান এবং বলুন যে আপনি এ ধরনের কাজ আগেও করেছেন। অর্থ প্রাপ্তি সুনিশ্চিত হবার পুর্বে কক্ষোনই আপনার কাজ ক্লায়েন্টকে পাঠাবেন না। এতে আপনার আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।


নতুন কিছু শিখুন এবং কাজে পরিধিকে বাড়ানঃ 

 ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনাকে মনে রাখতে হবে - ” You are an one man army!”. অর্থ্যাৎ আপনাকে সবকিছু সুন্দরভাবে সামলাতে (ম্যানেজ করতে) হবে। প্রজেক্টে বিড করা থেকে শুরু করে, কাজ শেষ করা অবধি সবা কিছু আপনাকেই করতে হবে। এর পরে যখন পেমেন্ট হাতে পাবেন- তখন তার পুরোটার আপনি নিজেই পাবেন। 

ফ্রিলেন্সারদের কে সব সময় নতুন নতুন সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হয়। এটা অবশ্য খারাপ না… কারন আপনি সমস্যার সম্মুক্ষীন না হলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন না। ছোট্ট একটি টিপস বলছি – যারা ওয়েব ডিজাইনের কাজ ভাল জানেন তারা প্রথমে যে কোন একটি সাইটে গিয়ে প্রজেক্ট এ বিড করুন। আপনি যদি কিছু মানসম্মত ডিজাইন ক্লায়েন্টকে দেখাতে পারেন তাহলে কাজ পেতে আপনার বেশী দিন লাগবে না। কয়েকটি কাজ করার পর যখন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন হবে তখন অন্যান্য সাইটে গিয়ে ঢুঁ  দিয়ে জেনে আসুন “আপনার কাজের মার্কেট ভ্যালু” কেমন। যদি অন্যান্য সাইটে কাজের মার্কেট ভ্যালু বেশী হয় তাহলে আপনি যে কোন সময় নতুন সাইটে চলে যেতে পারবেন। আর সাথে থাকবে আপনার পুর্বরতী কাজে অভিজ্ঞতা। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি নতুন কাজ পেয়ে যাবেন।


কাজের কোয়ালিটি(মানের) দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ

শুধু টাকার কথা ভেবে যদি কাজের মানের কথা ভুলে যান তাহলে জেনে রাখুন ফ্রি-ল্যান্সিং এ আপনি খুব বেশী সুবিধা করতে পারবেন না !! হ্যা এটা সত্য যে আমাদের সবারই মুল লক্ষ্য হল টাকা উপার্জন করা, তবে তা হতে হবে ক্ল্যায়েন্ট কে ভাল মানের কাজ প্রদান করার মাধ্যমে। আপনি যদি ভাল মানের কাজ ক্লায়েন্টকে প্রদান করতে পারেন তাহলে সে খুশি মনে আপনাকে পে করবে। অনেক সময় ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারলে বোনাস পাবার সম্ভাবনাও থাকে। 

এছাড়াও ক্লায়েন্ট খুশি হলে আপনাকে বিড করে সময় নষ্ট করতে হবে না। কারন, আপনি একজন ফিক্সড ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করতে পারলে উনি আপনাকে নিয়মিতভাবে কাজ দিতে থাকবেন। আর কাজ করে দিলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার পেমেন্ট।আর কিছু গুরুত্বপুর্ন বিষয় অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আর তা হল – 

♦ আপনাকে যে কাজটি করে দেওয়ার জন্য বলা হবে, সেটি ডেলেভারী দেওয়ার সময় যেন “ত্রুটি মুক্ত” (Bug Free) হয়।
♦ কাজ শেষ হয়ে গেলে-ক্লায়েন্টকে ফিডব্যাক ও রেটিংস দেওয়ার জন্য অনুরোধ করুন। এগুলো আপনাকে পরবর্তী কাজ পেতে সাহায্য করবে।
♦ হুট করে পেমেন্ট রেট না বাড়িয়ে, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং রেটিংস এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আস্তে-ধীরে বাড়ান।
♦ যে সাইটে কাজ করছেন সেখানে নিয়মিত আপনার প্রোফাইলে আপডেট করুন।
♦ নতুন টেকনোলজির সাথে পরিচিত হোন এবং নিজেক আপডেট রাখুন। এতে নতুন কাজ পেতে সুবিধা হবে।


কাজ বুঝে বিড করুনঃ

আপনি নিজেই আপনার নিজের বিচারক, অর্থ্যাৎ আপনি নিজে খুব ভাল করে জানেন যে – আপনি কোন কাজটি করতে পারবেন, আর কোনটি পারবেন না। অহেতুক পারবেন না , এমন কাজে বিড করে সময় নষ্ট না করাটাই শ্রেয়। কাজ শুরু করার পুর্বেই ক্লায়েন্ট এর সাথে ভাল মত কথা বলে কাজের ধরন সম্পর্কে বুঝে নিন। এতে করে কাজে ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যাবে। কাজ শুরুর পুর্বে আপনি নিজে নির্ধারন করে নিবেন- কাজটি শেষ করতে কত সময় লাগবে। আপনার কাছে যদি মনে হয় কাজটি শেষ করতে ১০ঘন্টা/২দিন লাগবে- তবে চেষ্টা করবেন, যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন কাজটি শেষ হয়ে যায়। এর ফলে ক্লায়েন্টকে আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজটি ডেলীভারী দিতে পারবেন।


ভাল ক্লায়েন্ট যোগাড় করুন এবং তাদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখুনঃ

ইন্টারনেটে “ফেক” লোকের কোন অভাব নেই! এজন্য কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না! তাই আমি মনে করি ভাল একজন ক্লায়েন্ট পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। এজন্য একটি কাজ পাওয়ার পরে চেস্টা করুন আপনার ক্লায়েন্ট, "ফিক্সড একজন ক্লায়েন্ট" বানানোর জন্য। কক্ষোনই ক্লায়েন্টের কাছে মিথ্যা কথা বলবেন না, কিংবা মিথ্যা বলার চেস্টাও করবেন না। আপনার সমস্যাগুলো তার কাছে সুন্দর করে উপস্থাপন  করুন, এবং তাকে বুঝিয়ে বলুন। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে করে তার কাছে আপনার গ্রহনযোগ্যতা আরও বাড়বে। ক্লায়েন্টকে আপনার ম্যাসেঞ্জারে যেমন – Yahoo, GTalk, Skype এ রাখুন, যাতে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। এভাবে যদি আপনি ৩/৪ জন "ফিক্সড ক্লায়েন্ট" ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনাকে কক্ষোনই কাজের জন্য বিড করতে হবে না। তারাই নিয়মিত ভাবে আপনাকে কাজ দিবে। এটাই হল ফ্রিল্যেন্সিং এর সব থেকে বড় সিক্রেট।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ