ফেসবুকে আর নয় ভুয়া খবর/পোস্ট প্রচার আসুন জেনে নেই বিস্তারিত।
Facebook Dislike |
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ফেসবুকে ভাঁওতাবাজি পোস্ট ও ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে । প্রায়শয়ই ১৩৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে দাবানলের মতো এক নিমিষেই ভুয়া কোনো খবর ছড়িয়ে যায় আর এ কারনে অনেক সময় সমাজ থেকে শুরু করে দেশ হতে দেশান্তরে দেখা দেয় নানা অরাজকতা আর তাই এসব ভুয়া খবর ঠেকাতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের হাতে কিছু ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি অপশন উন্মুক্ত করছে যা ব্যবহার করে কোনো ‘উদ্দেশ্যমূলক ভাঁওতাবাজির চেষ্টা’ বা ‘ভুয়া খবর’কে ফ্লাগ দেখানো যাবে আর এমনটাই জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যার ফলে ঠেকানো যাবে ছড়িয়ে পড়া হোয়াক্স বা ভাঁওতাবাজির খবরগুলো। ফেসবুক কর্তৃপক্ষরা নিজেরা কোনো ভুয়া নিউজ তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাবে না এমনটাই জানিয়েছে ফেসবুক। তবে এর পরিবর্তে ফেসবুকের বিশেষ এলগরিদম কোনো ভুয়া পোস্টের ছড়িয়ে পড়ার হার নির্ধারণ করে যা হোয়াক্স হিসেবে চিহ্নিত করে রাখবে।
একটি পোস্টকে তখনই হোয়াক্স হিসেবে বিবেচিত হবে যখন কোনো লিংকযুক্ত পোস্টে ব্যবহারকারীরা অধিকসংখ্যক ফ্লাগ দেখাবেন । ফেসবুককে যদি এরকম হোয়াক্সের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা যায় বা তা মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয় তবে সেক্ষেত্রে সেই খবরটি নিউজ ফিডে ছড়িয়ে পড়া বা প্রদর্শনের হার ফেসবুক কমিয়ে দেবে। আর এজন্যই এখন থেকে‘ডাইনোসর দেখতে পাওয়া’ কিংবা ‘সান্তা ক্লজের সন্ধান’-এসব খবর দেখে অভাগ হওয়ার আগেই ফেসবুক এই খবরের সত্যতা চিহ্নিত করে নিউজ ফিডে তা প্রকাশ করবে।ফেসবুকে খবর পড়ার হার ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী অনেক বেড়ে গেছে। খবরের গুরুত্বপূর্ণ উৎস থেকে শুরু করে দৈনন্দিন নানা খবরের উৎস হিসেবে এখন ফেসবুকের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্করা ফেসবুক থেকে খবর পড়ার হার প্রায় ৩০ শতাংশ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিদ্রূপাত্মক খবরগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji