Ad Code

Responsive Advertisement

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে BTRC এর সু-সংবাদ

বাংলাদেশের বহুল কাংখিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সু-সংবাদ দেবে বাংলাদেশ টেলিকম নিয়ন্ত্রণ কমিশন BTRC। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কক্ষপথের স্লট বরাদ্দ নেয়ার বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ে এ স্লট বরাদ্দ নেওয়া হবে। আর আগামীকাল বিকেলে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে এ স্লট বরাদ্দ নিতে চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন BTRC এর সচিব সারওয়ার আলম।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান ইন্টারস্পুটনিকের কাছে থাকা ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব কক্ষপথটি বরাদ্দ নিতে এর আগে প্রাথমিক সমঝোতা হয়েছে। তবে আজ চূড়ান্ত চুক্তির পরে এ কক্ষপথের বরাদ্দ পাবে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রথম স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে একটি প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কার্যক্রম চলছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে পরামর্শক সেবা গ্রহণের জন্য ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ‘প্রিপারেটরি ফাংশন অ্যান্ড সুপারভিশন ইন লঞ্চিং এ কমিউনিকেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে বিটিআরসিকে দায়িত্ব দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম বাস্তবায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক-ডিপিপি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নীতিগত অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা কমিশন। গত বছরের মাঝামাঝি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পের ডিপিপি পাঠানো হয়। DPP অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্পের অর্থায়ন-সংক্রান্ত বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী ডিপিপি সংস্কারও করা হয়। তবে এর পরও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এ প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দ্রুততম সময়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। চলতি মাসের প্রথমদিকে প্রকল্পটি অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি এটি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিরও অনুমোদন পায়।

ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থ ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হবে বিদেশী উত্স থেকে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটির প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয় ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। তবে ডিপিপি অনুমোদন পিছিয়ে যাওয়ায় এর বাস্তবায়নকাল পুনর্নির্ধারণ করা হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এতে সংশ্লিষ্ট স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি, উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ ও বীমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে পর পাঁচ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন।

বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণে মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (SPI) । বাজার মূল্যায়ন, বাজারজাতকরণ, কাঠামো তৈরি, স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে সহায়তা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ