Ad Code

Responsive Advertisement

খুব দ্রুত মাইক্রোসফট জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলবে এন্ড্রয়েডকে, স্মার্টফোন, অ্যান্ড্রয়েড, নির্বাচিত

মাইক্রোসফটের নতুনত্ব পিছনে ফেলতে পারে এন্ড্রয়েডকে।

Microsoft vs Android
Microsoft vs Android
জনপ্রিয়তায় উৎকর্ষতার শীর্ষে সাইনোজেন অপারেটিং সিস্টেম।এটি গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টোমাইজ সংস্করণ যা মূলত ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত সফটওয়্যার যেটির উপর মূলত সম্প্রতি চোখ পড়েছে মাইক্রোসফটের। তবে কি অবশেষে ওপেন সোর্স কোম্পানি হতে চলেছে মাইক্রোসফট? অন্যদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সম্প্রতি যে যে পরিবর্তনগুলো মাইক্রোসফট এনেছে তা অনেকের চোখে দাগ কেটেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের বৃহত্তম এই সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রায় সাত কোটি মার্কিন ডলার সাইনোজেন মোডের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সাইনোজেনে বিনিয়োগ করবে তারা। ফলে মাইক্রোসফটের মত এতবড় প্রতিষ্ঠান ক্রমশ জনপ্রিয় হতে থাকা সাইনোজেন নামের উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেমটিতে বিনিয়োগের ফলে এটি এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

আপাতত এখনও মাইক্রোসফট ও সাইনোজেন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। কিন্তু বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন,  মাইক্রোসফটের সাইনোজেনে বিনিয়োগের মাধ্যমে ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত সফটওয়্যারের দিকে বেশ আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ সফটওয়্যারের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়া সত্ত্বেও ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি তা গ্রহণ করছে।  মাইক্রোসফট উন্মুক্ত সফটওয়্যারের দিকে ঝুঁকতে শুরু করার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে প্রতিযোগিতার দিক দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসকে পেছনে ফেলানো আর এমনটাই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞগণ অন্যদিকে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোন বাজারের মাত্র ৩ শতাংশ দখল করতে পেরেছে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন। স্মার্টফোনের বাজার দখলে মাইক্রোসফটের জন্য নানা পথ খোলা রয়েছে। গুগলের নীতিমালার বিরুদ্ধে হওয়া সত্ত্বেও সাইনোজেন মূলত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সোর্স কোড কাস্টমাইজ করে তৈরি করে । অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত প্রকল্প হলেও গুগলই এই সফটওয়্যার দিয়ে হার্ডওয়্যার নির্মাতারা কী করতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেয়। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীরা গুগলের এই ছড়ি ঘোরানোর বিষয়টি খুব একটা পছন্দ করেন না। তাই গুগলের অ্যান্ড্রয়েডের বিকল্প হিসেবে সাইনোজেনকেই ব্যবহার করা যায়, যাতে রয়েছে নতুন থিম, উন্নত প্রাইভেসি টুলের মতো ফিচার রয়েছে।

সম্প্রতি  স্মার্টফোন নির্মাতাদের কাছে সাইনোজেন তাদের অপারেটিং সিস্টেম সরাসরি সরবরাহ করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা ওয়ান প্লাস এই সাইনোজেন দিয়েই  তাদের জনপ্রিয় স্মার্টফোনটি অর্থাৎ ওয়ান প্লাস ওয়ান  তৈরি করেছে। এ ছাড়াও অন্যান্য যে দেশগুলো সাইনোজেননির্ভর ফোন তৈরি করছে তাহলো ভারত ও চীন। ভারতের মাইক্রোম্যাক্স ও চীনের অপো যথাক্রমে সাইনোজেননির্ভরই স্মার্টফোন।

বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন যে, সাইনোজেনে বিনিয়োগের মাধ্যমে মাইক্রোসফট আরও বেশি মোবাইল গ্রাহককে টানতে পারবে। মাইক্রোসফট প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলার অধীনে উন্মুক্ত সফটওয়্যারের দিকে বেশি ঝুঁকছে। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ডটনেট ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিয়েছে। সাইনোজেনের প্রধান নির্বাহী কার্ট ম্যাকমাস্টার সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, গুগলের আধিপত্য থেকে অ্যান্ড্রয়েডকে কেড়ে নিয়ে আরও উন্মুক্ত করে দিতে চায় তাঁর এই প্রতিষ্ঠান এমনকি তিনি আরো বলেন যে, "অ্যান্ড্রয়েডের আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিত।"

অন্যদিকে কার্ট ম্যাকমাস্টার ঘোষণা দিয়েছেন যে, সাইনোজেন খুব শিগগিরই গুগলের প্লে স্টোরের মতো নিজস্ব অ্যাপ স্টোর তৈরি করবে তাঁরা । তবে  এখনো গুগলের ওপর সাইনোজেন কিছুটা নির্ভরশীল, কিন্তু ভবিষ্যতে তা বেশিদূর আর যাবে না। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে গুগল থেকে উত্পন্ন ভিন্ন একটি সফটওয়্যার হয়ে যাবে সাইনোজেন।

আশা করি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ