Ad Code

Responsive Advertisement

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিলিয়ন ডলার রফতানিতে সমন্বিত সেমিনার অনুষ্ঠিত

 
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে বেসিসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর লেভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্প। আর এই কাজে সহযোগিতায় রয়েছে আন্তর্জাতিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান থোলনস এবং ওন হেইট। ওয়ান বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে ইন্ডাস্ট্রির স্টেকহোল্ডারদেরকে অবহিত করতে ‘ওয়ান বাংলাদেশ : ইউনিটিং ভিশন’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালায় বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ওয়ান বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে বেসিস অনেকাংশে এগিয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪ ও বেসিস সফটএক্সপো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আইসিটিতে বাংলাদেশ কি করছে সেটি বিশ্বের সামনে উঠে আসে। ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাংলাদেশে বিনিয়োগ শুরু করেছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের ইনভেস্টমেন্ট এবি কিনেভিক, নরওয়ের এসএনটি ক্লাসিফায়েডস, রকেট ইন্টারনেট, সিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে। এর ফলে ঐসব কোম্পানি বছরে ৪/৫ গুন রিটার্ন পাচ্ছে। হিউম্যান রিসোর্সের ক্ষেত্রে বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) এর মাধ্যমে এলআইসিটি ও আইসিটি ডিভিশনের সাথে পার্টনারশীপে ২৩ হাজার আইটি প্রফেশনালস তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বিসিসি, বেসিসসহ এই খাতের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই ২০১৮ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে রফতানি আয় ১ বিলিয়ন ডলার করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বিসিসি ও আইসিটি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সাবেক সভাপতি একেএম ফাহিম মাশরুর, রফিকুল ইসলাম রাউলি, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক সামি আহমেদ, আইসিটি ডিভিশনের যুগ্ম সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারি, এলআইসিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি নির্ভরযোগ্য রিপোর্ট তৈরির প্রতি জোর দেওয়া হয়। এছাড়া এই খাতের উন্নয়নে করনীয় নির্ধারণ ও সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ