‘Equatorial Vortex Experiment’ সংক্ষেপে ‘EVEX’ নামে একটি রকেট মিশন পরিচালিত হয়েছে কয়েক মাশ আগে । নাসার অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে মিশনটি । এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীর উপরিভাগের বায়ুমণ্ডলে যে বৈদ্যুতিক ঝড় হয় সেগুলোর ব্যাপারে জানতে ও বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করা ।
কেননা বৈদ্যুতিক ঝড় প্রায়শই স্যাটেলাইট থেকে তথ্য গ্রহন, সিগন্যাল প্রেরণ, গ্রহণ প্রভৃতি কাজে বাধা সৃষ্টি করে থাকে । অনেক সময় মহাশুন্যে থাকা কোন নভোযানের সাথে যোগাযোগে বিঘ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই বৈদ্যুতিক ঝড় গুলো । যেমনটি কয়েক মাস আগে হয়েছিল ‘কিউরিওসিটি’র সাথে; তবে সেটা অবশ্য সৌরপ্রভা অথবা সৌরঝড়ের কারণে ঘটেছে ।
এই মিশনের জন্য উৎক্ষেপণ করা হবে । এই দুটি রকেট দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে সমান্তরাল আয়নোস্ফিয়ারের উপর দিয়ে ১২ মিনিটের একটি ভ্রমণে সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে । মার্শাল আইল্যাণ্ডের কুয়াজালেইন এটল থেকে মে মাসের ১০ তারিখ এই রকেটদ্বয় উৎক্ষেপণ করা হয়েছিলো ।
আয়নোস্ফিয়ার হচ্ছে আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে ঘিরে রাখা আহিত কণার স্তর । গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম(জিপিএস) স্যাটেলাইট কিংবা অন্যান্য কমিউনিক্যাশান স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে তথ্য আদান প্রদানের কাজে এই স্তরটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । পৃথিবীর ৬০ মাইল উপর থেকে ইলেকট্রন এবং আয়ন দ্বারা পরিপূর্ণ এই স্তরটির সীমা শুরু । সূর্য থেকে আসা সকল ক্ষতিক্ষর রশ্মিসমূহ আঁটকে দিয়ে এটি মানবজাতিসহ সকল প্রাণীকুলকে রক্ষা করে আসছে সেই শুরু থেকে ধরে ।
2 মন্তব্যসমূহ
শিখামূলক লিখা...।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ ভাই।
মুছুনএই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji