শিল্প বিষয়টি একেবারেই প্রকৃতিগত। বলা চলে চিরায়ত ও চিরন্তন নৈসর্গিক প্রকৃতিকে শিল্পীর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত রং, রেখা, শব্দ বা রূপকের আশ্রয়ে প্রকাশ করে সেই অনুভূতি অন্যের মনে সঞ্চারের মাধ্যমে একটি পরিচয়বোধের সঞ্চারণ ঘটানোকেই শিল্প হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে শিল্পের এই রস আস্বাদন করে চলছে বহু যুগ ধরেই। আধুনিক এই যুগে শিল্পমনা কতিপয় শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম তুলে ধরছেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীতে। এমনই কিছু শিল্পকর্ম লক্ষ্য করা যায় খাবার রুটিতে অর্থাৎ আমরা যাকে বলি পাউরুটি। যদিও বহু প্রাচীনকাল থেকে পিঠাপুলিতে গ্রামীণ নারীরা বিভিন্ন লতাপাতা এঁকে তাদের শিল্পবাসনা ফুটিয়ে তুলতো কিন্তু বর্তমানে খাবার রুটিতে করা শিল্পকর্মগুলি কিছুটা বিচিত্রই বলা চলে। নিচে ছবিতে দেখুন যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে শিল্পীর পরিবর্তিত কিছু শিল্পকর্ম।
ছবিটিতে দেখুন, এটি একটি প্রকান্ড গাছের শেপ, বড় গাছের বড় বড় ডালপালা, তার উপরে হার্ট আকৃতির গাছের পাতা। সব মিলিয়ে গাছের ছবিটি অনেক সুন্দর। কিন্তু ভালো করে খেয়াল করে দেখুন এটি একটি খাবার রুটি বা যাকে আমরা বলি পাউরুটি।
দেখুন, এই ছবিটিতে ৩ টি ছোট ছোট হাসের বাচ্চা যেগুলোর ছোট ছোট চোখ আর ছোট্ট একটি করে ঠোঁট রয়েছে। এটিও আসলে পাউরুটি।
মিষ্টিকুমড়ার আকৃতিতে তৈরি করা পাউরুটি।
বিস্কিটের তৈরি ছোট্ট একটি আদুরে খরগোশের বাচ্চা।
দেখুন আজব শিল্পকর্ম। খাবার রুটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়ের স্যান্ডেল। তারপরও এটি মানুষের মনে আনন্দ দিচ্ছে। তাই অবশ্যই এটি একটি নিখুঁত শিল্পকর্ম।
মানুষের মাথার আকৃতিতে তৈরি এটি একটি পাউরুটির খন্ড।
দুটি কচ্ছপের বাচ্চা পাউরুটি।
হাতের আকৃতিতে তৈরি খাবার রুটি।
খাবার পাউরুটি দিয়ে করা সুন্দর একটি শিল্পকর্ম।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji