Ad Code

Responsive Advertisement

রোবট সভ্যতার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতা

একবিংশ শতকের মাঝামাঝি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সংক্ষপে এআই) নাকি মানুষের সম্মিলিত বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যাবে। রোবট, কম্প্যুটার, গেজেট মানবসমাজকে নিয়ন্ত্রণ করবে। লক্ষণ-সক্ষণও সেরকমই বটে! তা’হলে কি হবে সেই সভ্যতার নাম? ‘রোবট সভ্যতা’? তাহলে যে মানবসভ্যতা থাকছেই না! 

রোবট সভ্যতার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতা


চিন্তার বিষয় হচ্ছে এআই সম্পূর্ন লজিকনির্ভর। অ্যালগরিদম, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি। কিন্তু রোবটকে দিয়ে মানবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাতে হলে তার অনেক আবেগ লাগবে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সায়েন্স ফিকশন গল্প-উপন্যাস-সিনেমায় আবেগ ও বোধবুদ্ধিওয়ালা রোবটদের কাহিনী শুনানো হয়েছে অবশ্য! দেখানো হয়েছে রোবট প্রেম করছে। হিংসা-ঈর্ষা ভিলেনবাজি-কুংফু-কারাতেও করছে।

সমস্যা হচ্ছে মানুষের ব্যাপারেই জ্ঞানজগত এখনো নিশ্চিত নয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবেগ না যুক্তি— কোনটির শক্তি বেশি? রোবটে আবেগ ঢোকানোর মাত্রা-অনুপান প্রোগ্রামিং-এ সামান্য ভুলভাল হলেতো সিনেমাগুলোয় দেখা অ্যাপোক্যালিপ্স বা মহাপ্রলয় ঘটে যাবার কল্পনাগুলোই সত্য হয়ে যাবে!

তাই গভীর আগ্রহে ‘ইমোশন’ এবং ‘লজিক’—এই দুটো বিষয়ে বিভিন্ন দর্শন পড়তে শুরু করেছিলাম। দীর্ঘদিনের বুঝার ইচ্ছা— কতটুকু যুক্তি আর কতটুকুই বা আবেগ নিয়ে মানব জীবন!

দর্শন পাঠ বিরক্তিকর ও হতাশাকর হয়ে উঠল যখন দেখলাম বিশ্ব-জ্ঞানজগতটিও ডেমোক্রেটিক-রিপাব্লিকান, লিব্যারাল-কঞ্জার্ভেটিভ বা আওয়ামী-বিএনপির মত দুই ভাগ হয়ে গেছে। ‘আবেগ’ সঙ্ক্রান্ত আলোচনার দায়িত্ব নিয়েছে মনোবিজ্ঞান। আর ‘যুক্তি’ আলোচনার ভার পড়েছে দর্শনশাস্ত্রের ঘাড়ে। এরকম কেন হবে? এই দু’য়ের মিলিত রসায়নের দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যাওয়াইতো বড় কুলক্ষণ! সার্ত্রেসহ অস্তিত্ববাদী দার্শনিকরা ‘আবেগ’ বিষয়ে কথাবার্তা না বললে দর্শনশাস্ত্রে আবেগের কোন জায়গাই থাকতনা সম্ভবত!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ