১৯০৩ সালে রাইট ভাতৃদ্বয় সর্বপ্রথম সফল বিমান তৈরী করেন। ১৯০৭ সালের মধ্যেই ত্রুটিমুক্ত বিমান তা।রা তৈরী করে ফেলেন। অচিরেই বিমানের বিপুল সামরীক উপযোগিতার কথা বিশেষজ্ঞদের মাথায় আসতে শুরু করে। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে বিমানের উপযোগিতা প্রশ্নাতিতভাবে প্রমানিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সমরশক্তির অপরীহার্য অঙ্গ হয়ে ওঠে শক্তিশালী বিমান বাহিনী। যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে কিংবদন্তি নাম মিগ-২১ কে আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

কিভাবে এল মিগ-২১:
দ্বিতীয় বিশ্ভযুদ্ধের সময় থেকেই হালকা ও দ্রুতগামি ইন্টারসেপ্টর এর গুরুত্ব উপলব্ধ হয়। একাজে সর্বাধিক খ্যাতিসম্পন্ন ছিল জাপানি জিরো যা সেসময়ে শুধু ইন্টারসেপ্টরই নয় মাল্টিরোল ফাইটারেরও ভূমিকা পালন করেছিল। যুদ্ধ্ত্তরকালে আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই আরো দ্রুতগামি বিমান তৈরীতে হাত দেয়। জেট প্রযুক্তি এসময় ফাইটার প্লেনের একমাত্র সহায় হয়েওঠে। মিগ-২১ এর পূর্বসূরী হল মিগ-১৭ ও মিগ-১৯ যেগুলি জেট ফাইটার ছিল। এর মধ্যে মিগ-১৯ শব্ধের চেয়ে দ্রুত বা সুপার সোনিক গতিতে উড়তে পারত। এরপরে ১৯৫৫ সালের ২৪ সে ফেব্রুয়াররি মিকোয়ান গুরেভিচের তৈরী একটি প্রটোটাইপ সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। ১৯৫৯ সালে এটিকে রুশ বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভিয়েৎনাম যুদ্ধ:
মিগ-২১ বিশ্বের নজর কারে ভিয়েৎনাম যুদ্ধের সময়ে। সেসময় এর তূল্য হালকা, দ্রুতগতিসম্পন্ন বিকল্প আমেরিকার কাছে প্রায় ছিলইনা। তারা সেসময় মূলত লকহিড এপ-১০৪ ও নরথ্রপ-এফ-৫ ব্যবহার করত। যুদ্ধের সময় এই বিমানগুলোকে ভিয়েৎনামীরা একের পর এক মিগ এর সাহায্যে ধংস্ব করতে থাকে। মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি কার্যকর উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ফলে অতিদ্রুত এগুলি গিয়ে মারকিন বিমানবহরের উপর হামলা করতে পারত। মার্কিন বিমানগুলি একের পর এক এর হাতে ধংস্ব হতে থাাকে। মার্কিন বি-৫২ বন্বারগুলিকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ে।
স্পেসিফিকেশন:
১ চালক বিশিষ্ট বিমানটি মোট ১৪.৫ মিটার লম্বা এবং এর ডানার বিস্তার ৭.১৫৪ মিটার। এবং ৪.১২৫ মিটার উঁচু। বিমানটি একটি তুমানস্কি আর-২৫-৩০০ ইঞ্জিন চালিত যা আফটারবার্নারসহ সর্বচ্চ ৬৯.৬২ কিলোনিউটন থার্স্ট উৎপন্ন করতে পারে। বিমানটিকে বলা হয় ফ্লায়ার্স এয়ারক্রযাফ্ট অর্থাৎ বিমানের উপযোগিতা পাইলটের দক্ষতার উপরে নির।ভরশীল। উপযুক্ত চালকের হাতে না পড়লে এর উপযোগিতা বহুলাংশে কমে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্ভযুদ্ধের সময় থেকেই হালকা ও দ্রুতগামি ইন্টারসেপ্টর এর গুরুত্ব উপলব্ধ হয়। একাজে সর্বাধিক খ্যাতিসম্পন্ন ছিল জাপানি জিরো যা সেসময়ে শুধু ইন্টারসেপ্টরই নয় মাল্টিরোল ফাইটারেরও ভূমিকা পালন করেছিল। যুদ্ধ্ত্তরকালে আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই আরো দ্রুতগামি বিমান তৈরীতে হাত দেয়। জেট প্রযুক্তি এসময় ফাইটার প্লেনের একমাত্র সহায় হয়েওঠে। মিগ-২১ এর পূর্বসূরী হল মিগ-১৭ ও মিগ-১৯ যেগুলি জেট ফাইটার ছিল। এর মধ্যে মিগ-১৯ শব্ধের চেয়ে দ্রুত বা সুপার সোনিক গতিতে উড়তে পারত। এরপরে ১৯৫৫ সালের ২৪ সে ফেব্রুয়াররি মিকোয়ান গুরেভিচের তৈরী একটি প্রটোটাইপ সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। ১৯৫৯ সালে এটিকে রুশ বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভিয়েৎনাম যুদ্ধ:
মিগ-২১ বিশ্বের নজর কারে ভিয়েৎনাম যুদ্ধের সময়ে। সেসময় এর তূল্য হালকা, দ্রুতগতিসম্পন্ন বিকল্প আমেরিকার কাছে প্রায় ছিলইনা। তারা সেসময় মূলত লকহিড এপ-১০৪ ও নরথ্রপ-এফ-৫ ব্যবহার করত। যুদ্ধের সময় এই বিমানগুলোকে ভিয়েৎনামীরা একের পর এক মিগ এর সাহায্যে ধংস্ব করতে থাকে। মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি কার্যকর উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ফলে অতিদ্রুত এগুলি গিয়ে মারকিন বিমানবহরের উপর হামলা করতে পারত। মার্কিন বিমানগুলি একের পর এক এর হাতে ধংস্ব হতে থাাকে। মার্কিন বি-৫২ বন্বারগুলিকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ে।
স্পেসিফিকেশন:
১ চালক বিশিষ্ট বিমানটি মোট ১৪.৫ মিটার লম্বা এবং এর ডানার বিস্তার ৭.১৫৪ মিটার। এবং ৪.১২৫ মিটার উঁচু। বিমানটি একটি তুমানস্কি আর-২৫-৩০০ ইঞ্জিন চালিত যা আফটারবার্নারসহ সর্বচ্চ ৬৯.৬২ কিলোনিউটন থার্স্ট উৎপন্ন করতে পারে। বিমানটিকে বলা হয় ফ্লায়ার্স এয়ারক্রযাফ্ট অর্থাৎ বিমানের উপযোগিতা পাইলটের দক্ষতার উপরে নির।ভরশীল। উপযুক্ত চালকের হাতে না পড়লে এর উপযোগিতা বহুলাংশে কমে যায়।

ভারতযাত্রা:
মূলত ভিয়েৎনামে এর সাফল্য দেখে এগুলি ভারতে আনার পর্চেষ্টা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে প্রথম মিগটি বায়ুসেনার হাতে আসে। যদিও পাইলট এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষনের অবাবে ১৯৬৫ এর ভারত-পাক যুদ্ধে এগুলি নেহাতই প্রান্তিক ভুমিকা পালন করেছিল। কিন্তু ক্রমশ রুশ সহায়তায় বৈমানিকদের প্রশিক্ষন এবং পীর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে তৈরী শুরু হয়। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে বিমানগুলি ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষার মেরুদন্ড হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭১ সালে ৩ রা ডিসেম্বর পাকিস।তা উত্তর ভারতে ১১ টি বিমানক্ষেত্রে অকস্মাৎ হামলা চালায়। ঐ দিন রাতেই এর জবাব দেওয়া হয়। মিগ-২১ এর সামনে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরোধ কার্যত গুঁড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের এফ-১০৪, এফ-৮৬, এফ-৬ এর মত বিমানগুলি ভারতীয় মিগ এর সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। প্রবল আক্রমণের মুখে মাত্র ১৩ দিনেই পাকিস্তানের সব জাড়িজুড়ি খতম হয়ে যায়।
মূলত এর পরেই বিমানগুলি কিংবদন্তিতে পরিনত হয়। এরপর দীর্ঘসময় এটই ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান শক্তি। এমন কি ১৯৯৯ এ কার্গিল যুদ্ধের সময়েও যখন পাকিস্তানি এফ-১৬ বিমান ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে তখন চটজলদি মিগ কেই পাঠানো হয়। এবং এই বুড়ো ঘোড়াকে দেখেই পাক পাইলটরা সাথে সাথে লেজ গুটিয়ে প্রস্থান করে।
বিমানটিতে পরে বহু পরিবর্তন করা হয়। বিভিন্নভাবে আধুনিকিকরন করা হয়। বর্তমানে ভারতে শেষ যেগুলি ব্যবহৃত হয় সেগুলি হল বাইসন নামের একটি আপগ্রেডেড রূপ। বিমানটিতে রয়েছে একটি ২৩ মিমি জিএসএইচ-২৩ কামান, আর-২৭, ভিম্পেল আর-৭৭, আর-৬০এম এবং আর-৭৩ই মিশাইল। পরে ৬০ টিরও বেশী দেশে রপ্তানি হয়েছে এই বিমান।
ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানগুলি বর্মানে বাতিলের পথে। অল্প কিছু আপগ্রেডেড বিমানই এখনও রয়েছে। বারবার দূর্ঘটনার কারনে একসময় এর উড়ন্ত কফিন নাম হয়ে যায়। কিন্তু নিজের জমানায় নিঃসন্দেহে এ ছিল রাজা। এবং ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসের এক অমর সাথি এ। ফলে আমাদের কাছে মিগ এর জন্য একটি আলাদা জায়গা থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji