Ad Code

Responsive Advertisement

সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ফার্নেস ওয়েল এখন facebook এ!

যেন নিদারুণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে সুন্দরবন। তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবির পর  বনের প্রায় ৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এখন এ তেলে ছয়লাব। বর্তমানে তেল অপসারণ কাজ শুরু হলেও পুরোপুরি হবে কিনা তার শঙ্কা কাটছে না। এখনো বনের ভিতরের খালগুলোয় চাকচাক তেল ভাসতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া জোয়াতের সময় তেল সুন্দরবনের ভিতরে ঢুকে গাছের গায়ে লেগে আছে। আবার চাক ধরে মৌচাকের মত হয়ে রয়েছে কোথাও কোথাও। 

 

সুন্দরবন যন্ত্রণায় যেন ছটফট করছে  facebook এর কিছু মানুষ। facebook এর এখন অন্যতম মুখ্য বিষয়ই হচ্ছে সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত এই ফার্নেস ওয়েল ।  সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ফার্নেস ওয়েল এখন facebook এ! সুন্দরবনে বিষাক্ত ফার্নেস ওয়েল নিয়ে কিছু লিখা facebook ওয়াল থেকে সংগ্রহ করে নিম্নে দেওয়া হলঃ

 

বনের গভীরে যেতে যেতে চোখে পড়ে সেই ট্যাঙ্কারের তেলে চুবে বিষাক্ত সাপের গায়ে জালা ওঠার দৃশ্য। প্রচন্ড জালায় তেলে লেপ্টা সাপটির (স্থানীয়রা বিষাক্ত সাপ হিসাবে জানালেও নাম জানাতে পারেননি) একটি গাছের নিচু ডালে ঝুলে শরীল চুলকানোর দৃশ্য।

 

ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস ওয়েলের দাম ৪০ টাকা লিটার নির্ধারণ করেছে সরকার। অভাবের তাড়নায় সুন্দরবনের গরীব জনগণ তাতেই খুশী। অবশ্য তাদের উপায়ও ছিলনা। নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহকারী এই গরীব মানুষগুলো জীবিকা হারিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছিল। এই নতুন উপার্জনের পথ তাদের পেটে ভাত দিয়েছে সত্য। সরকারও তাতে মুখ রক্ষার কিছুটা রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু বিষাক্ত ফার্নেস ওয়েল এই মানুষগুলোর শরীরে যে রোগ সৃষ্টি করবে- চর্মরোগ, এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগ যখন বছর পরে তাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়বে, তার খবর কি রাখবে কোনো সরকার, কোনো মিডিয়া, কোনো সংস্থা? ক্ষতিপুরণ বাজেটে কি এদের ক্ষতির হিসাব থাকবে? সবাই জীব বৈচিত্রের ক্ষতি নিয়ে সোচ্চার কিন্তু এই শিশুটির ভবিষ্যৎ আমরা কি ভাবছি?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ