Ad Code

Responsive Advertisement

টিনেজারদের মিথ্যা কথা বলা নিয়ে গবেষণা করলো "ফেসবুক"

 ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের অভ্যাস পরবর্তীতে নিজেকে ফেলতে পারে লজ্জা পাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে। এর ফলে নিজের কাছে নিজেকেই মনে হতে পারে গুরুত্বহীন। আর এমন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারী নিজের সত্য তথ্যকে চাপা দিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেকে সবার সামনে আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে পারেন বলে তাঁদের কাছে মনে হয়। প্রাপ্তবয়স্ক তরুণদের মতে, তাঁরা তাঁদের সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রের সফলতা এবং ছুটির দিন সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে থাকেন।


  গবেষণায় সহায়তা করেছেন, এমন তরুণদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের ১ জন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই তাঁদের কাছে নিজেদের বিষাদময় লাগতে শুরু করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুন-তরুণীদের মধ্যে ১৬ শতাংশই মনে করেন মিথ্যা বলতে বলতে ইতোমধ্যেই তাঁদের মস্তিষ্ক আক্রান্ত হতে শুরু করেছে।


  তাঁদের অনেকেই ডিজিটাল অ্যামনেশিয়ায় ভুগতে শুরু করে যার ফলে তাঁরা সবকিছু নিজেদের মত করে ভাবতে শুরু করে এবং প্রকৃত সত্যই ভুলতে শুরু করে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ কোন ঘটনা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাতে গেলে একেবারে খোলামেলা ভাবেই মিথ্যা বলে।


  এই ধরণের ঘটনা যখন একের পর এক হতে থাকে, তখন নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকে এবং আত্ম-সম্মানবোধ কমে যায়। আর এর ফলে দেখা দিতে পারে দুশ্চিন্তা-গ্রস্ত হয়ে পড়াসহ আরও নানা সমস্যা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ