Ad Code

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে প্রায় ২২০ শতাংশ স্মার্টফোন আমদানি বেড়েছে

বাংলাদেশে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ স্মার্টফোন আমদানি বাড়ে চলেছে। ভারতভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাইবার মিডিয়া রিসার্চ (CMR)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃতীয় প্রান্তিকে দেশে স্মার্টফোন আমদানি বেড়েছে ২২০ শতাংশ।


সিএমআরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৃতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশে স্মার্টফোন আমদানি হয়েছে ১৬ লাখ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ লাখ। সে হিসাবে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে এর আমদানি বেড়েছে ২২০ শতাংশ। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন আমদানি হয় ৭ লাখ।


স্মার্টফোনের এ প্রবৃদ্ধি খুবই স্বাভাবিক বলে মনে করছে থ্রিজি সেবা চালু করা সেলফোন অপারেটররা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে জানা গেছে, তারাও বান্ডল অফারের আওতায় গ্রাহকদের স্মার্টফোন দিচ্ছে। থ্রিজি সেবার সুবিধাগুলো পেতে হলে স্মার্টফোন প্রয়োজন। তবে দেশে সেলফোন সংযোগের তুলনায় স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা এখনো অনেক কম।


সিএমআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোনের বিক্রি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এ খাতের সামগ্রিক আয়ও বাড়বে। ফিচার ফোনের তুলনায় স্মার্টফোনের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ আয় বাড়বে। পাশাপাশি মুনাফাও তুলনামূলক বেড়ে যাবে। আর বাজারের প্রসারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে, যার ফলে পছন্দের হ্যান্ডসেট কেনার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাবেন ক্রেতারা।


হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড সিম্ফনি। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে হ্যান্ডসেট বাজারের ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে এ অবস্থানে রয়েছে সিম্ফনি। এছাড়া নকিয়া ৬ দশমিক ২, ম্যাক্সিমাস ৬ ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের দখলে রয়েছে ৫২ শতাংশ।
স্মার্টফোনের বাজারেও শীর্ষ অবস্থানে থাকা সিম্ফনির দখলে রয়েছে বাজারের ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন বাজারের ১১ দশমিক ৮ শতাংশ নিয়ে রয়েছে পরবর্তী অবস্থানে। আর বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড স্যামসাং এ বাজারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ নিয়ে। অন্য ব্র্যান্ডগুলোর দখলে রয়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ।


এদিকে স্মার্টফোনের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে তা তুলনামূলক কম। তৃতীয় প্রান্তিকে ফিচার ফোন আমদানি হয়েছে ৬৪ লাখ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ বেশি। ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৬৩ লাখ ফিচার ফোন আমদানি করা হয়। তবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ফিচার ফোনের আমদানি ১০৭ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফিচার ফোন আমদানি হয়েছে ৩১ লাখ।


চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন মিলিয়ে হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয় ৭৯ লাখ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনা এটি ১৬ শতাংশ বেশি। ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে ৬৮ লাখ। আর চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে হ্যান্ডসেট আমদানি প্রায় ১০৮ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩৮ লাখ হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ