Ad Code

Responsive Advertisement

রাতে যারা জাগেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ আসুন জানি কেন, খবর, জানা অজানা।

নিশাচরদের জন্য দুঃসংবাদ।

Nocturnal-এর জন্য দুঃসংবাদ
নিশাচরদের জন্য সতর্কবার্তা
যারা পেশাগত বা অন্যকোন কারণে রাতের বেলায় ব্যস্ত বা জাগ্রত থাকেন আর পুরো সকাল ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন তাদের জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ নিয়ে এনেছেন এক দুঃসংবাদ। এরুপ অভ্যাসে পরিণত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন সজীব উপাদানের রাসায়নিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার গতি ধীর হয়ে পড়ে এমনকি শরীরের ক্যালরি কম খরচ হয় বলে ধীরে ধীরে মোটা হয়ে পড়তে পারে আর এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

এর উপর ভিত্তি করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয় প্রেসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সস সাময়িকে। এতে দেখা যায় যে, গবেষকরা ১৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান যে, রাতে কাজ শুরুর সাথে সাথে এদের শরীরে ক্যালরি পোড়ার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে। নিম্মে রাত্রি জাগরণ আর দিনের বেলায় ঘুমানোর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য খারাপ দিক দেখানো হলোঃ-

১. অস্বাভাবিকভাবে মোটা হয়ে যাবার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

২.মস্তিস্কের রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৪ গুন।

৩. খিদেও বেড়ে যায় অনেক।

৪. দুর্ঘটনার ঝুকিও বেড়ে যায়।

৫. মুখমন্ডলে নমনীয়তার অভাব দেখা দেয়।

৬. হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

৭. মস্তিস্কের টিস্যু ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।

৮. অল্পতেই আবেগপ্রবণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৯. মনোযোগ কমে যাওয়া এবং ভুলে যাওয়ার হার বেড়ে যেতে পারে।

১০. মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

১১. ধীরে ধীরে শুক্রাণু কমে যেতে পারে।

১২. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে যেতে পারে।

১৩. ডায়াবেটিকসের ঝুকিও বেড়ে যেতে পারে।


১৪. কয়েকপ্রকার ক্যান্সারের সম্মুখীনের শিকার হতে পারে। যেমনঃ- মলাশয় 
      স্তন ক্যান্সারে

এছাড়াও রাত্রি জাগরণে অভ্যাস্থ যারা তারা একটি সময় Insomnia-তে ভুগতে থাকে যা উপরে উল্লেখ্যিত যেকোন দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে এমনকি এক জরিপে দেখা যায় যে যারা ১০ থেকে ১৪ বছর  ধরে দিনে ৬ ঘনটারও কম সময় ঘুমিয়েছে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই রাতে না ঘুমানোর অভ্যাসটা এড়িয়ে চলাটাই শ্রেয়।

আশা করি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ