Ad Code

Responsive Advertisement

জানা অজানায় রহস্যে প্রাচুর্যে বিল গেটস !









বিল গেটস হলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর তৈরি করা বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন শীর্ষস্থানে। তার ধনসম্পদের মোট মূল্যমান ৭৬ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। গত এক বছরে তার ধনসম্পদের মূল্য বেড়েছে ৯০০ কোটি ডলার। 

বিল গেটস। বিশ্বের সেরা ধনী। এ পরিচয়েই তাকে চেনে বিশ্ববাসী। তার পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। তার জন্ম অক্টোবর ২৮, ১৯৫৫। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরে। তিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান সফটওয়্যার নির্মাতা এবং সাবেক সিইও। বিল গেটস বিয়ে করেন ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি। তার স্ত্রীর নাম মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ। বিল গেটস উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস সিনিয়র। বিল গেটসের বাবা একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী ছিলেন। তার মায়ের নাম মেরি ম্যাঙ্য়েল গেটস। শৈশবে বাবা-মা তাকে আইনজীবী বানাতে চেয়েছিলেন। ১৩ বছর বয়সে তিনি লেকসাইড স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৭৩ সালে পাস করেন। তিনি স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ এর মধ্যে ১৫৯০ পান এবং ১৯৭৩ এর শরতে হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ড্রপ আউট হয়ে যান। তার সাফল্যের সূচনা হয় ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণ প্রকাশ করার মাধ্যমে। বর্তমানে উইন্ডোজ পৃথিবীর একটি অন্যতম কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম। তিনি বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। মজার ব্যাপার হলো সে তালিকায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি, বিল গেটস। তার অর্থ-বিত্তের পরিমাণ এতই বেশি যে, এ নিয়ে মজার সব তথ্য উপস্থাপন করা যায়। অবিশ্বাস্য সে তথ্যগুলো এখানে-

০১. বিল গেটস যদি একটি দেশ হতেন তাহলে তিনি পৃথিবীর ৩৭তম ধনী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন।
০২. তার হাত থেকে যদি এক হাজার টাকা পড়ে যায় তবে তার সেই টাকা তোলার কোনো দরকারই পড়বে না। কারণ যে ৪ সেকেন্ডে তিনি টাকা তুলবেন সে সময়ের ভেতর অলরেডি তার থেকে অনেক বেশি আয়ই হচ্ছে অন্যদিকে। কিন্তু তাই বলে বাস্তবে বিল গেটস এক হাজার নোট তুলে নেন না, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি একটি সংখ্যাতাত্তি্বক হিসাব মাত্র।
০৩. তিনি তার ইউনিভার্সিটির এক টিচারকে তার নিজের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন তার যখন ৩০ বছর হবে তখন তিনি মিলিয়নার হবেন কিন্তু তিনি বিলিওনার হন ৩১ এর আগে।
০৪.  যদি বিল গেটসের সব টাকাকে এক ডলারের নোট করা হয় তাহলে সেই টাকা দিয়ে চাঁদ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত ১৪টা রাস্তা বানানো যাবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এমন রাস্তা তৈরি করতে হলে একনাগাড়ে ১,৪০০ বছর কাজ করতে হবে।
০৫. প্রতি সেকেন্ডে তিনি প্রায় ২৫০ ইউএস ডলার আয় করেন, মানে এক দিনে ২০ মিলিয়ন আর এক বছরে ৮ বিলিয়ন।
০৬. তিনি পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে যদি ১৫ টাকা করে দান করেন তবুও তার পকেটে ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার পড়ে থাকবে।
০৭. আমেরিকা ৫.৬২ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণী অন্য কিছু দেশের কাছে অনেকদিন থেকে। বিল গেটসের কাছে যদি এই ঋণ শোধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তিনি তা ১০ বছরের আগে শোধ করে দিতে পারবেন।
০৮. তিনি যদি ৭৭ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাহলে তাকে ৬.৭৮ মিলিয়ন ডলার প্রতিদিন খরচ করতে হবে তার মৃত্যুর আগে সব সম্পদ শেষ করতে চাইলে।

গুজব আর গসিপ আলোচিত ব্যক্তিদের পেছনে ছুটে চলে বাতাসের আগে। বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তি বিল গেটস, তার অঢেল সম্পত্তি। সেই অর্থের পরিমাণ এতই বেশি যে খরচ করার ক্ষেত্রই খুঁজে পাওয়া ভার! বিল গেটসকে নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত গুজবের একটি হলো তিনি নাকি বিভিন্নস্থানে এক হাজার ডলারের নোট ফেলে দিয়ে যান। তার দানশীলতা অজানা নয় বিশ্ববাসীর। শিশু, চিকিৎসা আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তিনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দান করে থাকেন সারা বছর। তার দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির নাম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
কিন্তু তাই বলে কি সত্যি, রাস্তায়, এখানে সেখানে এক হাজার ডলার ফেলে দেন তিনি যাতে কারও কাজে লাগে? এটি নেহায়তই গুজব হয়তো। তবে এ গুজবের পেছনে একটি ঘটনা আছে। একবার বিল অসতর্ক থাকায় পকেটে থাকা এক হাজার ডলার মাটিতে পড়ে যায়।
কাজের তাড়া থাকায় বিল বিষয়টি খেয়াল না করেই গাড়ির দিকে যেতে থাকেন। পেছনে থাকা এক ব্যক্তি বিলকে বিষয়টি জানাতে একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করেন। বিল বিষয়টি লক্ষ্য করেননি। সেই থেকে ছড়িয়ে পড়ে এ গুজব। নিজের অনেক সম্পদ থাকলেও বিল অযথা খরচের ব্যাপারে কখনো উৎসাহী ছিলেন না। তাই অযথা বিভিন্ন স্থানে ডলার ফেলে রাখার বিষয়টিও সত্য নয়। এটি একটি গুজবই বটে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ