Ad Code

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে "গুগল বাস বাংলাদেশ"



"গুগল বাস বাংলাদেশ" বাংলাদেশে এই প্রথম চালু হলো। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহার শেখানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এই বাসের শুভ উদ্বোধন করেন। 

গুগল বাস উদ্বোধনের পর সেলফি তুলছেন এক কর্মকর্তা। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে l ছবি: প্রথম আলো

গুগল বাস উদ্বোধনের পর সেলফি তুলছেন এক কর্মকর্তা। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে l ছবি: প্রথম আলো
একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল বাস। বাসের ভেতরে চারদিকে কম্পিউটারের আটটি এলসিডি মনিটর ও একটি এলইডি টিভি। রয়েছে বেশ কয়েকেটি সাউন্ড বক্স ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। চালকের পেছনে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগও রয়েছে। কিন্তু ভেতরে কোনো আসন নেই। কারণ, বাসটি যাত্রী বহন করবে না। বাসটি ঘুরে বেড়াবে সারা দেশ। সারা দেশের ৩৫টি এলাকার উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শেখানো হবে ইন্টারনেটের নানা খুঁটিনাটি বিষয়। ব্যতিক্রমী এ বাসটি চালু করেছে ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। 


‘গুগল বাস বাংলাদেশ প্রজেক্ট’ এর আওতায় সরকারের তথ্যপ্রযিুক্ত বিভাগের সহায়তায় গতকাল বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাসটি চালু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কমর্সূচির উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এ সময় গুগলের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এমারজিং মার্কেটের কান্ট্রি ম্যানেজার জেমস ম্যাকক্লুর উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এ কারণে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেড়ে চলেছে। মূলত লেখাপড়ার প্রয়োজনে ও সামাজিক যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

গুগল বাস আগামী এক বছর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্নাতক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেটবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষার্থীরা যেন নিজ নিজ প্রচেষ্টায় ব্যবসা ও কোনো প্রকল্প তৈরি এবং তা পরিচালনার কলাকৌশল জানতে পারেন, সে জন্য গুগল এই উদ্যোগ নিয়েছে। 

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের কলাকৌশল ও বিভিন্ন দিক শেখাতে একজন প্রশিক্ষক থাকবেন। গুগলের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা যেমন: গুগল সার্চ, ক্রোম, ডকস, ম্যাপস, ইউটিউব, গুগল প্লাস ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেবেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘ইন্টারনেট মানে শুধু ভিডিও গেম, চ্যাটিং, মিউজিক ভিডিও ডাউনলোড করা ও সময় নষ্ট করা নয়। এর মাধ্যমে যে দুনিয়াটাকে পাল্টে দেওয়া যায় সেটা তুলে ধরবে এই গুগল বাস।’ এই কর্মসূচি সফল হলে ভবিষ্যতে গুগলের সঙ্গে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। 

জেমস ম্যাকক্লুর বলেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণেরা ইন্টারনেটের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে। এ দেশকে প্রযুক্তিভিক্তিক গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রামে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ