ইউরোপীয় অবতরণ যান ফিলা ইতিহাসে প্রথমবারের মত ৪শ’ কোটি মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ধূমকেতুতে নেমেছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫মিনিটে এটি ধূমকেতু ৬৭পি/চুরিয়মোভ-গেরাসিমেনকোতে অবতরণ করে। অবতরণের সঙ্কেত নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় জার্মানির ডার্মস্টাডে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মিশন কন্ট্রোলরুমে। সৌরজগত সৃষ্টির সময়ের নানা তথ্যসহ আরো অনেক রহস্য উদঘাটনের আশা নিয়েই চুরিয়মোভে এ অভিযান চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
চাঁদ, মঙ্গলকে পেছনে ফেলে এবার ধূমকেতুতে পৌঁছানোর ইতিহাস গড়ল মানুষ। মানুষ পৌঁছাতে না পারলেও পৃথিবী থেকে ৫১ কোটি কিলোমিটার দূরের একটি ধূমকেতুতে পৌঁছেছে মানুষের তৈরি অনুসন্ধানী রোবট ‘ফিলে’।
এই ঘটনাকে ‘মানব সভ্যতার বিশাল অর্জন’ হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
আজ বুধবার গ্রিনিচ মান সময় ১৬টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশি সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে) ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) পাঠানো ‘ফিলে’ ‘কমেট ৬৭/পি/চুরিউমভ-গেরাসিমেনকো’ নামের ধূমকেতুর পৃষ্ঠে অবতরণ করে, যা বরফ ও ধুলাবলিতে ঘেরা।
এদিকে ধূমকেতুতে ফিলের সফল অবতরণের পর জার্মানিতে এটির নিয়ন্ত্রণকক্ষে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ইএসএর ডিরেক্টর জেনারেল জ্যাঁ জ্যাকস দরদাইন বলেছেন, ‘মানব সভ্যতার জন্য এটি একটি বিশাল অর্জন।’ রোবটটি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে অবতরণ নিশ্চিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর মিশনের প্রধান স্টেফান উলামেক বলেন, ‘ফিলে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে... আমরা এখন ধূমকেতুতে আছি।’ ফিলের পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে সৌর জগতের উৎপত্তি সম্পর্কিত বহু অজানা তথ্য মিলবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আড়াই মাইল চওড়া ওই ধুলো ও বরফের ধুমকেতুতে ফিলের অবতরণ নিয়ে সংশয়ে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবতরণের প্রধান সমস্যা ছিল ধুমকেতুটির মাধ্যকর্ষণ। পৃথিবীর তুলনায় সেখানকার মাধ্যকর্ষণ অনেক কম। এ ছাড়া ধুমকেতুর পৃষ্ঠটি বহু খানাখন্দে ভর্তি।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ফিলের পাঠানো ওই ধুমকেতুপৃষ্ঠের ছবি দেখে সেখানকার রাসায়নিক কম্পোজিশন বিশ্লেষণ করা হবে। এটি থেকে সাড়ে চারশ কোটি বছর আগে সৌরজগৎ সৃষ্টির সময়ের নানাদিক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। বিবিসি।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji