Ad Code

Responsive Advertisement

নতুনরা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে যেই ২৫টি ভুল করে থাকেন

মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।       ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।  নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।       ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।  নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।       ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।  আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.       ৪. নিয়মিত আপডেট না করা।  ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।       ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।  ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।       ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।       ৭. পার্মালিংক সেট না করা।  আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।       ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।  নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।     ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা  ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।       ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.       ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা  আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।       ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা  আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না।  What is Page Cache?      ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।      ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।  আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।      ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?  আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।   ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।  আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।   ১৭. Sample Page ডিলেট না করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।  Sample Page Search Results  আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।       ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা  আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে।  Comment Moderation Out of Control   ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা  আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।       ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা  আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।       ২১. লম্বা আর্কাইভ  ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।   ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা  ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।   ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা  Security  কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।      ব্যাকআপ রাখুন।     এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।    ২৪. হার্ডকোডিং করা  নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।    ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা  সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।
 


১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।

নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।
 


২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।
নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।
 


৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।
মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি। ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা। নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী। ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই। ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা। আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup. ৪. নিয়মিত আপডেট না করা। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে। ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা। ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন। ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন। ৭. পার্মালিংক সেট না করা। আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি। ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা। নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী। ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন। ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading. ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না। ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache? ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স। ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা। আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে। ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো? আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন। ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ব্লগ লেখা। আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে। ১৭. Sample Page ডিলেট না করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি। Sample Page Search Results আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন। ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে। ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন। ২১. লম্বা আর্কাইভ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন। ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা Security কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন। ব্যাকআপ রাখুন। এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন। ২৪. হার্ডকোডিং করা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী। ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।  মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।       ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।  নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।       ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।  নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।       ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।  আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.       ৪. নিয়মিত আপডেট না করা।  ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।       ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।  ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।       ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।       ৭. পার্মালিংক সেট না করা।  আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।       ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।  নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।     ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা  ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।       ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.       ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা  আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।       ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা  আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache?      ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।      ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।  আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।      ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?  আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।   ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।  আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।   ১৭. Sample Page ডিলেট না করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।    Sample Page Search Results   আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।       ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা  আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control        ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা  আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।       ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা  আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।       ২১. লম্বা আর্কাইভ  ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।   ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা  ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।   ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা  Security  কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।      ব্যাকআপ রাখুন।     এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।    ২৪. হার্ডকোডিং করা  নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।    ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা  সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.
 


৪. নিয়মিত আপডেট না করা।

ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।
 


৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।

ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।
 


৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।

ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।
 


৭. পার্মালিংক সেট না করা।

আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।
 


৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।
নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।

 

৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা

ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।
 


১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা

ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.
 


১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা

আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।
 


১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা

আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না।

মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি। ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা। নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী। ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই। ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা। আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup. ৪. নিয়মিত আপডেট না করা। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে। ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা। ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন। ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন। ৭. পার্মালিংক সেট না করা। আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি। ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা। নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী। ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন। ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading. ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না। ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache? ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স। ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা। আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে। ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো? আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন। ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ব্লগ লেখা। আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে। ১৭. Sample Page ডিলেট না করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি। Sample Page Search Results আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন। ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে। ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন। ২১. লম্বা আর্কাইভ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন। ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা Security কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন। ব্যাকআপ রাখুন। এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন। ২৪. হার্ডকোডিং করা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী। ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।  মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।       ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।  নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।       ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।  নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।       ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।  আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.       ৪. নিয়মিত আপডেট না করা।  ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।       ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।  ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।       ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।       ৭. পার্মালিংক সেট না করা।  আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।       ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।  নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।     ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা  ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।       ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.       ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা  আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।       ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা  আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache?      ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।      ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।  আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।      ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?  আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।   ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।  আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।   ১৭. Sample Page ডিলেট না করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।    Sample Page Search Results   আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।       ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা  আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control        ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা  আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।       ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা  আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।       ২১. লম্বা আর্কাইভ  ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।   ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা  ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।   ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা  Security  কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।      ব্যাকআপ রাখুন।     এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।    ২৪. হার্ডকোডিং করা  নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।    ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা  সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
What is Page Cache?

 

১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।

ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।




১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।

আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।




১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?

আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।



১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।
আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।


১৭. Sample Page ডিলেট না করা

ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।

 
মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি। ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা। নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী। ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই। ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা। আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup. ৪. নিয়মিত আপডেট না করা। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে। ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা। ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন। ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন। ৭. পার্মালিংক সেট না করা। আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি। ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা। নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী। ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন। ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading. ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না। ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache? ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স। ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা। আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে। ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো? আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন। ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ব্লগ লেখা। আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে। ১৭. Sample Page ডিলেট না করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি। Sample Page Search Results আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন। ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে। ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন। ২১. লম্বা আর্কাইভ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন। ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা Security কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন। ব্যাকআপ রাখুন। এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন। ২৪. হার্ডকোডিং করা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী। ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।  মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।       ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।  নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।       ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।  নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।       ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।  আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.       ৪. নিয়মিত আপডেট না করা।  ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।       ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।  ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।       ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।       ৭. পার্মালিংক সেট না করা।  আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।       ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।  নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।     ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা  ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।       ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.       ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা  আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।       ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা  আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache?      ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।      ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।  আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।      ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?  আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।   ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।  আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।   ১৭. Sample Page ডিলেট না করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।    Sample Page Search Results   আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।       ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা  আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control        ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা  আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।       ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা  আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।       ২১. লম্বা আর্কাইভ  ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।   ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা  ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।   ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা  Security  কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।      ব্যাকআপ রাখুন।     এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।    ২৪. হার্ডকোডিং করা  নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।    ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা  সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
Sample Page Search Results


আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।
 


১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা

আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে।

মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি। ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা। নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী। ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই। ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা। আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup. ৪. নিয়মিত আপডেট না করা। ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে। ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা। ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন। ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন। ৭. পার্মালিংক সেট না করা। আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি। ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা। নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী। ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন। ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading. ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না। ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache? ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার। ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স। ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা। আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে। ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো? আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন। ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ব্লগ লেখা। আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে। ১৭. Sample Page ডিলেট না করা ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি। Sample Page Search Results আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন। ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে। ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন। ২১. লম্বা আর্কাইভ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন। ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা Security কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন। ব্যাকআপ রাখুন। এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন। ২৪. হার্ডকোডিং করা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী। ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।  মানুষ যেহেতু ভুল হবেই। কিন্তু তাই বলে ভুল নিয়ে বসে থাকলে কি চলবে? উত্তর হচ্ছে “না”। তাই আজকে আপনাদেরকে ২৫টি ভুল সম্পর্কে ধারণা দিবো যা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা করে থাকেন। যেহেতু এগুলো ভুল তাই আপনি যদি দেখেন যে এর মধ্যে কোন একটি আপনি করে ফেলেছেন তবে আজই বাদ দিন। চলুন তাহলে জেনে নেই ভুলগুলো কি কি।       ১. ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করা।  নতুনদের মধ্যে সর্বপ্রথম ভুল যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে তারা ভুল প্লাটফর্ম পছন্দ করে ফেলেন। নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কমের মধ্যে অধিকাংশ সময়ই প্যাচ লাগিয়ে বসে থাকেন। তাই আগে এই দুটোর পার্থক্য সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া জরুরী।       ২. দরকারের অতিরিক্ত ক্রয় করা।  নিজস্বভাবে হোস্ট করা ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য আপনার যেটা দরকার তা হলো শুধু একটি ডোমেইন এবং ভালো একটি ওয়েব হোস্টিং। এর বাইরে আর কিছুই তেমন দরকার পরে না। অনেক ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার এগুলোর পাশাপাশি নানা ধরণের সার্ভিস যেমন Private registration, branded emails, SSL, 5 year registration ইত্যাদি অফার করে থাকেন। যা নতুনদের জন্য কোন প্রয়োজনই নেই।       ৩. ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাকআপ তৈরি না করা।  আমরা আরেকটি যেটি ভুল করি তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের ব্যাকআপ না রাখা। এটা যে কত জরুরী তা প্রথমে বুঝে আসবে না। একবার-দুইবার সাইট হ্যাক হলে তাহলে বুঝবেন আর কি ;) যাই হোক, এক্ষেত্রে নিচের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করতে পারেন: BackupBuddy, VaultPress কিংবা BackWPup.       ৪. নিয়মিত আপডেট না করা।  ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন আপডেট, থিম আপডেট কিংবা প্লাগিন আপডেট ইত্যাদি সবগুলোই আপডেট ভার্সন বের হলে অবশ্যই আপডেট করুন। তা না হলে পরবর্তীতে বিশাল ঝামেলাই পরতে হবে।       ৫. ফেভিকন ব্যবহার না করা।  ফেভিকন হচ্ছে আপনার সাইটের আইডি কার্ড। ব্লুহোস্ট, জেনেসিস কিংবা থিসিসের মতো কোম্পানিগুলোর সাভির্স নিলেই তাদের ফেভিকনগুলো আপনার সাইটের ফেভিকন হিসেবে দেখাবে। তাই, অবশ্যই আপনার সাইটের একটি নিজস্ব ফেভিকন ব্যবহার করুন।       ৬. মাত্রাতিরিক্ত ক্যাটাগরির ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যাটাগরি তৈরি করা সহজ বলে প্রত্যেক পোস্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করা আপনার সাইটের জন্য মোটেই সুখকর নয়। বরং এটি আপনার ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যেই রাখুন।       ৭. পার্মালিংক সেট না করা।  আপনার পোস্টের ইউআরএল কিংবা পার্মালিংক সেট না করলে একদিকে আপনার এসইওতে যেমন প্রভাব পরবে অন্যদিকে এটি আপনার ভিজিটর হারানোরও কারণ হবে। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভুলে যাই এবং /?p=23 টাইপের ডিফল্ট পার্মালিংক ব্যবহার করে থাকি।       ৮. যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার না করা।  নতুন ইউজাররা আরেকটি ভুল যেটি করে থাকেন তা হলো সাইটের মধ্যে যোগাযোগ ফরমের ব্যবহার করেন না। যোগাযোগ ফরম আপনার ভিজিটরের সাথে আপনার সম্পর্ক তৈরি করে যা খুবই জরুরী।     ৯. এফটিপি ছাড়া functions.php আপডেট করা  ওয়ার্ডপ্রেসের থিমের মধ্যে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আছে তন্মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়ানক হচ্ছে functions.php। ভয়ানক এজন্য বললাম, কারণ এই ফাইলে একটি ছোট থেকে ছোট ভূল মানে আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিনা নোটিশে (!!!) ডাউন হবে। আমরা নতুনরা অনেকসময় যে ভুলটি করি সেটি হলো এফটিপি access না থাকা সত্ত্বেও functions.php ফাইলটি এডিট করতে যাই। ফলে অনেক সময় ভুল করে বসি এবং পুরো সাইট ডাউন করে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকি। তাই, functions.php ফাইলটি আপডেট করার আগে অবশ্যই এফটিপি বা সিপ্যানেল access টি জেনে নিন।       ১০. এসইও সেটিংসকে উপেক্ষা করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় একটি চেকবক্স থাকে যেখানে এরকম একটি অপশন থাকে “Discourage search engines from indexing this site”। এটি টিক দিতে যাবেন না। তবে হ্যা, আপনি যদি সাইট ডেভেলপ করার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিন ব্লক রাখতে চান তবে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে এই চেকবক্সটি মুছে ফেলতে ভুলে না যান। চেকবক্সটি খুঁজে না পেলে এখানে জানেন Settings -> Reading.       ১১. সাইটের ইউআরএল বদলিয়ে ফেলা  আমরা অনেকেই ফ্রি ডোমেইন দিয়ে সাইট শুরু করি এবং পরে যখন ভিজিটর ভালো পাই তখন হঠাৎ করেই সাইটের ইউআরএল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই। ফলে আমাদের সকল ভিজিটরগুলো আমাদের হাত থেকে হারিয়ে যায়। তাই, নতুন ডোমেইন নিলে অবশ্যই পূববর্তী ডোমেইনটিকে নতুন ডোমেইনে রিডিরেক্ট করতে ভুলবেন না।       ১২. ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল না করা  আমরা অনেকেই জানি না যে ক্যাচ প্লাগিন কি। যার ফলে সেগুলো ইন্সটল করার চিন্তাও করি না। ক্যাচ প্লাগিন আপনার সাইটের স্পীড বাড়িয়ে দেয় এবং ডাউনটাইম প্রতিরোধ করে। তাই, ক্যাচ প্লাগিন ইন্সটল করতে ভুলবেন না। What is Page Cache?      ১৩. উল্টা-পাল্টা জায়গা থেকে থিম ক্রয় করে ব্যবহার।  ওয়ার্ডপ্রেস সাইট বানানোর ক্ষেত্রে থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। যেন তেন জায়গার থিম ব্যবহার আপনার সাইট হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই থিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের মতে সর্বপ্রথম জায়গা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিরেক্টরী ‍অথবা থিম ফরেস্ট কিংবা এলিগেন্ট থিমের মতো কিছু ভালো সোর্স।      ১৪. গুগল ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহার না করা।  আপনার সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সাইটকে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে সাবমিট করা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।      ১৫. ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করেছেন তো?  আমরা অনেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর সাইটের পোস্ট করা শুরু করে দেই এবং ট্যাগ লাইন পরিবর্তন করতে ভুলে যাই। ফলে আমাদের সাইটের নাম হয় এরকম “অমুক ব্লগ সাইট – Just Another WordPress Site”। দেখুনতো আপনি এই ভুল করেছেন কিনা? যদি করে থাকেন তবে এখনি Settings -> General এ গিয়ে ট্যাগলাইন পরিবর্তন করে ফেলুন।   ১৬. মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে  ব্লগ লেখা।  আমরা অনেকে আমাদের ব্লগগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে তারপর আপলোড দেই। এতে যে সমস্যাটি হয় তার মধ্যে অনেক বড় হচ্ছে, অনেক সময় আপনি হয়তো কাজ করছেন এবং সেভ করার আগে ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। তখন আপনার মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা তাই এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের এডিটরটি ব্যবহারের পরামর্শ দেব। কারণ এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় সেভ করার ব্যবস্থা যা প্রায় প্রতি মিনিটে একবার করে আপনার লেখা সেভ করে থাকে।   ১৭. Sample Page ডিলেট না করা  ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল দেয়ার পর Sample Page নামক একটি পৃষ্ঠা অটোমেটিক ইন্সটল হয়ে যায়। গুগল সার্চে দেখা গেছে যে প্রায় ১.১ মিলিয়ন সাইটে বর্তমানে এই পৃষ্ঠাটি রয়ে গেছে এবং অধিকাংশেরই জানা নেই এটা এবং তারা এটি ডিলেটও করেন নি।    Sample Page Search Results   আজকেই মুছে ফেলুন পৃষ্ঠাটি যদি আপনি এখনো না মুছে থাকেন।       ১৮. মন্তব্য মডারেশন না করা  আপনার সাইটে প্রায় সময়ই স্প্যাম কমেন্টে ভর্তি হয়ে থাকবে যদি আপনি মন্তব্য নিয়মিত মডারেট না করে থাকেন। অনেক সময় নিচের মতো অবস্থাও হতে পারে। Comment Moderation Out of Control        ১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা  আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।       ২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা  আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।       ২১. লম্বা আর্কাইভ  ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।   ২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা  ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।   ২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা  Security  কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।      ব্যাকআপ রাখুন।     এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।    ২৪. হার্ডকোডিং করা  নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।    ২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা  সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।
Comment Moderation Out of Control


১৯. Error Establishing Database Connection নামক বার্তা

আপনার সাইটের ডাটাবেজ ও সি-প্যানেলের পাসওয়ার্ড কি একই রকম? তাহলে আজই বদলে ফেলুন। তা না হলে উপরের বার্তা আসতেই পারে। অবশ্য অন্যান্য কারণেও উপরের সমস্যাটি হয়ে থাকে।
 


২০. হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে ধারণা না রাখা

আপনার হোস্টের মেমোরির ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকুন।
 


২১. লম্বা আর্কাইভ

ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের শুরুর দিকে সাইডবারের আর্কাইভ নামক উইজেটটিকে ভালো এবং শৃঙ্খল মনে হলেও। সাইট যত পুরনো হতে থাকে তত এটি লম্বা এবং অসুন্দর হতে থাকে। তাই, এর ব্যাপারে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে ড্রপ-ডাউন আর্কাইভ ব্যবহার করুন।



২২. ছবি ব্যবহারে অসাবধানতা

ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করুন। alt ট্যাগ, ছবির নাম, সাইজ এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন।


২৩. সাইটের সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্বহীনতা

Security

কারো সাইট হ্যাক হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ এর সিকিউরিটির ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে চায় না। আপনিও কি সেই ভুল করছেন? তাহলে এখনই নিচের কাজগুলো করে ফেলুন।

    ব্যাকআপ রাখুন।
    এই প্লাগিনটি ইন্সটল দিন।



২৪. হার্ডকোডিং করা

নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা আরেকটি যেই ভুল করে থাকেন তা হচ্ছে সবকিছু হার্ডকোডিং করা। ইনলাইন সিএসএস করা, অগোছালো কোডের ব্যবহার করা যার ফলে পরবর্তীতে সবকিছু আরো জটিল হয়ে পড়ে। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের আমাদের মূল কারণ যেহেতু সবকিছুকে সহজ করা তাই সেই দিকটি খেয়াল রাখাও জরুরী।
 

২৫. জ্ঞানার্জনে অবহেলা

সবচেয়ে বড় ভুল যেটি আমরা প্রায় সবাইই করে থাকি সেটি হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না রাখে। ওয়ার্ডপ্রেসের মার্কেটটি এমন যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু যোগ হচ্ছে। তাই এসব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)