Ad Code

Responsive Advertisement

যে কারণ গুলর জন্য "টেক ফোবিয়া" হয়

 

    হয়তোবা "ফোবিয়া" শব্দটি শুনে আপনার বিভিন্ন রকম ভয়ের অনুভূতি হতে পারে। হতে পারে তা ভূত-প্রেত অথবা কোন কীটপতঙ্গ। কিন্তু এটা হতে পারে কম্পিউটার এমনকি মোবাইল ফোনও!! কিন্তু ভয় জিনিসটা মানুষ ভেদে ছড়িয়ে আছে সর্বত্র।

প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র ছড়িয়ে যাওয়ায় পর ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমাণে টেক ফোবিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু মেনটাল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক ম্যানুয়ালে এই ফোবিয়াগুলোর নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়নি। অর্থাৎ এগুলো এখনও আনঅফিসিয়াল। অফিসিয়াল ক্লিনিক্যাল টার্ম না থাকা সত্ত্বেও টেক ফোবিয়া বিদ্যমান। পাঁচ টি টেক ফোবিয়ার নাম যেগুলোর সাথে আমরা সাধারণরা পরিচিত নোই।

 ১। টেকনোফোবিয়া (Technophobia)
       মূলত প্রযুক্তি সম্পর্কিত সকল প্রকার ফোবিয়া এর অন্তর্গত। প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাদের প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষ ভীতি কাজ করে। এই টার্ম ডিফাইন করা হয়েছে এভাবে: "the abnormal fear or anxiety about the effects of technology." যেসকল মানুষ অথবা গোত্র আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন অথবা অস্বস্তি বোধ করেন তাদেরকে টেকনোফোবস (technophobes) বলা হয়।

২। নমোফোবিয়া (Nomophobia)
       মোবাইল ডিভাইসের সংস্পর্শে না থাকা জনিত যে ভয় সেটার নাম "নমোফোবিয়া"। যারা সেলফোন আসক্ত সম্ভবত তাদের সকলেই এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত। নোমো বা Nomo শব্দটি No Mobile এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ফোবিয়াটি সর্বপ্রথম নামকরণ করা হয় ২০০৮ সালে। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তি যখন অন্য কাউকে মোবাইল অপারেট করতে দেখে তখন নিজের মোবাইল অপারেট করতে না পারার অস্বস্ততিতে ভুগেন। এবং আক্রান্ত ব্যাক্তির নিকট কোনো মোবাইল ডিভাইস না থাকলে সেটা প্যানিকে রুপান্তরিত হয়। এছাড়াও ফোন কল ধরতে না পারা, ব্যাটারি লাইফ শেষ হয়ে যাওয়া এমনকি ফোন হারানোর ভয়ও এই ফোবিয়ার অন্তর্গত।

৩। সাইবারফোবিয়া (Cyberphobia)
      বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, কিছু মানুষ আছেন যারা কম্পিউটার ফোবিয়া রয়েছে এবং তারা কম্পিউটারে কাজ করার সময় অথবা কাজ করতে হবে জেনে ভয় পান। এই ফোবিয়াকে বলা হয় সাইবারফোবিয়া। কম্পিউটার সম্পর্কিত যে কোন কিছু করতে যেয়ে অথবা করার পূর্বে ভয় পাওয়া এই ফোবিয়ার অন্তর্গত। আক্রান্ত ব্যাক্তি এসময় উদ্বিগ্ন অথবা আতংকিত হয়ে পড়েন। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তির মনে হতে পারে কম্পিউটারের প্রাণ রয়েছে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ব্যবহারকারীর উপর লক্ষ রাখছে।

৪। টেলিফোনোফোবিয়া (Telephonophobia)
        এটা নমোফোবিয়ার মত ডিভাইস সংক্রান্ত ফোবিয়া নয়। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যাক্তি ফোন রিসিভ করে উত্তর দেয়া নিয়ে আতংকিত থাকেন। পাবলিক স্পিকিং করতে ভয় পেলে তাকে বলা হয় "glossophobia"। অনেকটা একই রকম ফোবিয়া এই Telephonophobia. ফোনে যখন রিং বেজে উঠে তখন আক্রান্ত ব্যাক্তি ভয় পান এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে hypervantilation অথবা panic attacks এর সম্মুখীন হন। এই ফোবিয়াকে অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় "social anxiety disorder"। সমালোচিত হওয়া অথবা অন্যের কাছে বোকা বনে যাওয়ার যে ভয় সেটার সাথে যথেষ্ট মিল রয়েছে টেলিফোনোফোবিয়ার।

৫। সেলফিফোবিয়া (Selfiephobia)
        সেলফি জনপ্রিয় হয়ে উঠার সাথে সাথে এই সংক্রান্ত ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। "সেলফিফোবিয়া" টার্মটি ইন্টারনেটে বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত। নিজের ছবি তোলার ভয়টাই সেলফিফোবিয়া। এই ফোবিয়ার মূল কারণ, নিজেকে ফটোজেনিক মনে না করা এবং এটা চিন্তা করা যে "মানুষ মনে করবে আমি attention seek করছি" বিশ্বাস করুন আর নাই করুন প্রযুক্তি সম্পর্কিত সকল ফোবিয়ার মধ্যে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)