Ad Code

Responsive Advertisement

Breakfast-এ কেন আমাদের ডিম খাওয়া উচিত আসুন তা জেনে নেই, স্বাস্থ্য, জানা অজানা।

প্রতিদিন Breakfast-এ ডিম খেয়ে নিজ শরীরকে রাখুন সতেজ।

সকালে যখন কর্মব্যস্ত দিনের কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে নিজ ঘর হতে বের হতে হয় আর তখনিই পরতে হয় হুটোহুটি আর দৌড়ঝাপে, আর এতে হারাতে হয় শরীরের অনেকখানি পুষ্টি। আর এই জন্যই শরীরের হারানো পুষ্টি ফিরে পেতেই সকালের শুরুতে অর্থাৎ Breakfast-এ খেতে হয় ডিম। শরীরে পুষ্টির ক্ষেত্রে ডিমের বিকল্প আর কিছু নেই।

Breakfast-এ ডিম।
প্রতিদিন Breakfast-এ ডিম খেয়ে নিজে গড়ে তুলুন সাস্থ্যবান

সকালে ঘুম থেকে উঠে কেন Breakfast-এ একটি বয়েল ডিম খাওয়া উচিত তা নিম্নে যুক্তিসহ বর্ণনা দেয়া হলো।

১.ডিম কিভাবে দেহের পুষ্টি যোগায়ঃ-

  সকালে ঘুম থেকে উঠেই Breakfast-এ একটি বয়েল ডিম খেলে সারাদিন কর্মব্যস্ত দিনে শরীরে আলাদা পুষ্টি যোগান দেয়। কারণ ডিমে রয়েছেন অধিক পরিমাণে প্রটিন এবং চর্বি আর এটি শরীরে পুষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তার উপর একটি বয়েল করা ডিমে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি যা আমাদের শরীরের হাড় গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে।
  

২.প্রোটিন দিয়ে ভরা ডিমঃ- 

 প্রচুর পরিমানে প্রোটিন দিয়ে ভরা একটি বয়েল ডিম আর এর পাশাপাশি একটি ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড। শরীরে মাংসপেশী গঠনে অ্যামিনো এসিড একটি অতি জরুরি খাদ্য উপাদান।

 ৩.ডিম তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুলঃ-

  বাজারে বা আমাদের চারপাশে দোকানে যেসব প্রোটিনযুক্ত খাওয়া আছে তা অধিক ব্যয়বহুল। যেমন লালমাংস  এর একটি বড় উদাহারণ লালমাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন কিন্তু তা অনেক বেশী ব্যয়বহুল। আবার অন্যদিকে ডিম এর তুলনায় অনেক কম ব্যয়বহুল। এই খাবারটি মানব শরীরে ৬ প্রায় গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করতে সক্ষম।

৪.ডিম খেলে কোলেস্ট্রল বাড়ে নাঃ-

  আমাদের কাছে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, ডিম খেলে শরীরে অধিক পরিমাণে কোলেস্ট্রল বাড়ে যা একান্তই ভুল ধারণা। এটা সত্য যে ডিমে চর্বি  থাকে বলে এতে কিছু পরিমাণ কোলেস্ট্রল রয়েছে  তবে ডিমের যে কোলেস্ট্রল তা আপনার শরীরে আলাদা চর্বি সৃষ্টি করে না। অন্যদিকে ডিমের যে চর্বিগুলো তা স্যাচুরেটেউ চর্বি ফলে তা দেহের অধিক পরিমাণে রক্তের কোলেস্ট্রল কমিয়ে ফেলে, আর একটি বয়েল ডিম দুই তৃতীয়াংশ এধরণের উপকারী ফ্যাট দিয়ে গঠিত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

৫.মস্তিস্কের স্মৃতি ধারণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে ডিমঃ- 

   ডিমে এমন একধরণের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা দেহের মস্তিস্কের সৃতি ধারনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে অধিক পরিমাণ, আর ডিমের এই পুষ্টির উপাদানটি হলো কোলেন। 

৬.দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়ক ডিমঃ- 

  ডিমে দুই ধরণের আন্টিওক্সিডেন্ট রয়েছে তা হলো লিউটিন এবং জায়াজেনহিন। আর চোখকে আলট্রাভায়োলেট রশ্নির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে  আন্টিওক্সিডেন্ট  মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলা যায় নিয়মিত Breakfast-এ ডিম খেলে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা অনেকটাই থাকে না। অন্যদিকে ডিম খাওয়ার ফলে মাইক্রোঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিটামিন এ কে কার্যকর করে থাকে ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়তে সক্ষম হয়।

অতএব, পরিশেষে বলা যায় যে প্রতিদিন যদি Breakfast একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করা যায় তাহলে শরীরে উপরিউক্ত উপকারগুলো পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। 

আশা করি  Breakfast-এ ডিম খাওয়া নিয়ে এই পোষ্টটি আপনার উপকারে আসবে। 

 

 

Breakfast-এ ডিম 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ