Ad Code

Responsive Advertisement

যেভাবে করবেন মানসম্মত আর্টিকেল রাইটিং !!

আর্টিকেল রাইটিং
যেভাবে করবেন মানসম্মত আর্টিকেল রাইটিং !! 

আর্টিকেল রাইটিং শব্দটি ছোট হলেও একজন ফ্রিল্যান্সার কিম্বা ব্লগারের কাছে এর বিশালতা অনেক । আপনার লেখার স্কিলের উপর নির্ভর করছে আপনার ব্লগটি কি পরিমান জনপ্রিয়তা পাবে অনলাইন দুনিয়ায়। যাই হোক আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য আপনাকে অনেকগুলো বিষয়ের উপরে গুরুত্বারোপ করতে হবে। একজন সফল এসইও এক্সপার্ট এর জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকেই মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং অনেক সহজ একটা ব্যাপার । জি যেনতেন একটা আর্টিকেল লেখা আসলেই অনেক সহজ একটা কাজ । তবে একটু ভালো করে গুছিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারা একটা শিল্প।

আর্টিকেলের বিষয় নির্ধারণ

শর্বপ্রথমে আপনাকে ঠিক করেনিতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে লিখতে যাচ্ছেন। লেখার বিষয় নির্দিষ্ট না থাকলে কিছুই লিখতে পারা যায় না। তাই আগে আপনার লেখার বিষয় টা নির্ধারণ করে নিতে হবে।

আর্টিকেলের বিষয় সম্পর্কিত গবেষণা

আপনি যে বিষয়ে লিখতে যাচ্ছেন সেই বিষয়ে আপনি কটটুকু জানেন ? যদি ভালো জানা থাকে তাহলে ভালো । আর যদি ভালো জানা না থাকে তখন?
হ্যাঁ, তখন আপনাকে একটু সময় খরচ করে ওই বিষয় টা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আর যদি ভালো জানা ও থাকে, তারপর ও লেখা শুরু করার আগে একটু গবেষণা করে নেয়া ভালো । এই বিষয়ের ফোকাস কিওয়ার্ড টা দিয়ে গুগল সার্চ এ উপরে থাকা ৩-৪ টা ওয়েবসাইট এর আর্টিকেলগুলো দেখে নিতে পারেন। এতে বিষয়টি সম্পর্কে আরও ভালো ধারনা পাবেন।
আপনার লেখার স্টাইল, কোন বিষয়ে কিছু ডেলিভার করার স্টাইল, আর্টিকেলটির মাধ্যমে কিছু বোজানোর স্টাইল সব কিছু আলাদা এবং মানসম্মত করার চেষ্টা করবেন। চেষ্টা করতে থাকলে একদিন দুইদিনে হয়তো কিছু হবেনা। কিন্তু বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ক্রমাগত লেগে থাকার ফলে একদিন না একদিন আপনি খুব ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ

সার্চ রেজাল্টে আপনার আর্টিকেল টা ভালো র‍্যাঙ্ক পাক, এটাই নিশ্চয়ই আপনার লক্ষ? যদি টাই হয়, তবে আপনার উচিত কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। ফোকাস কিওয়ার্ড হিসেবে লংটেইল কিওয়ার্ড ইউজ করলে আপনি র‍্যাঙ্ক পাবেন দ্রুত। আর লংটেইল কিওয়ার্ড ব্যাবহারে ভিজিটর কিন্তু হিসেবে বেশিই পাবেন। সাধারণত ৩ বা ততোধিক শব্দ নিয়ে গঠিত কিওয়ার্ড কে বলা হয় লংটেইল কিওয়ার্ড।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি 

আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন, তখন এই বিষয় টা ও মাথায় রাখতে হবে। আপনি আর্টিকেল লিখবেন সাধারণ মানুষের জন্য। আপনার আর্টিকেল এর এক মাত্র পাঠক কিন্তু মানুষ, সার্চ ইঞ্জিন না। একটা ১০০০ ওয়ার্ড এর আর্টিকেল এ বারবার এক কিওয়ার্ড পড়তে গিয়ে আসলে সেটা বিরক্তিকর লাগে । তাই কিওয়ার্ড ইউজ করতে হবে মেপে মেপে। সাধারণত ২.৫-৩% এর বেশি ব্যাবহার না করাই ভালো। আর বেশি কিওয়ার্ড ইউজ করলে আপনার আর্টিকেল পড়তে গিয়ে মানুষ যেমন বিরক্ত হবে, তেমনি হবে না সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব ।

আর্টিকেলের সূচনা 

এতক্ষণ বলছিলাম আর্টিকেল লিখার পূর্বপ্রস্তুতির বিষয়গুলো নিয়ে। এখন কীভাবে লিখবেন হবে তা নিয়ে আলোচনা করব । ভালোভাবে শুরু করতে পারাটায় ও অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেক ভিজিটর আপনার আর্টিকেল এর প্রথম দুইতিন টা লাইন পড়েই চেষ্টা করবে ভিতরে কি আছে তার ধারণা নিতে।
আচ্ছা কোন আর্টিকেল লেখার জন্য যে স্টার্টিং টা করেন, সেটা কিভাবে করেন ? যেনতেনভাবে শুরু করাটা নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাই না ?
সুচনাতে আপনি বলতে পারেন ভিজিটরদের আকাঙ্ক্ষা কি এই বিষয়ে এবং আপনার এই আর্টিকেল টি কি কি বিষয়ে বর্ণনা করতে চলছে।
উদাহরণ হিসেবে আমার এই আর্টিকেল টির সূচনাটাই লক্ষ্য করেন না হয় ! আরেকটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন লেখা শুরুর করার সময়। যারা দুই-ছাড় লাইন পরেই ভিতরের ভাব-সাব বুজে এর পর পুরাটা পড়তে চায়, তাদের জন্য আপনাকে একটু ভাবতে হবে। সূচনা পর্যায়ে এমনভাবে কিছু শব্দ উপস্থাপন করুন, যাতে ওই বেচারা ভিতরে কি আছে তা পড়তে আগ্রহী হয়।

আর্টিকেল বডি

আর্টিকেল এর প্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর্টিকেল বডি । কিন্তু ব্যাপারটা লেখা বেস সহজ ।
বডি তে এসে যে বিষয়ে আর্টিকেলটি রচনা করতে যাচ্ছেন, সেই বিষয়ে ভালো করে আলোকপাত করুন। ভিজিটরকে ভালো করে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করুন। তাকে এই বিষয়ে পারলে ক্লিয়ার করে তলুন। যতো বেশি আপনি তাকে বোঝাতে পারবেন, তত বেশি আপনার আর্টিকেল এর সফলতা।

আর্টিকেলের শেষ অংশ

এই অংশ লেখাটা আরও সহজ ।
উপসংহার এ এসে বলতে পারেন যে বিষয় টি আসলে কেমন শেখার জন্য বা পড়ার জন্য বা কেরিয়ার হিসেবে বা যে ক্ষেত্রে মানায়, সেই ক্ষেত্রে। তাছাড়া, ভিজিটর আর্টিকেল এ কি রকম বিষয়ে ধারণা পেলো, সেই বিষয়ে ও বলতে পারেন। আর উপসংহার পারলে ছোট্ট একটা প্রশ্ন দিয়ে শেষ করবেন। এই ছোট্ট প্রশ্নটা সব আর্টিকেলই যে করা যাবে তা না কিন্তু। এইটা আপনার উপসংহার এর প্রথম দিকে বক্তব্য এর সাথে মিল খেলেই আপনি করতে পারবেন। কেমন প্রশ্ন ? আপনার কি মনে হয় ? কি মনে হয় করতে পারবেন ? কি মনে করেন, সহজ নাকি কঠিন ? এইগুলো শুধু উদাহরণ। এই রকমকরে ছোট্ট প্রশ্ন করতে পারেন। এই রকম প্রশ্ন আপনার আর্টিকেল এর যে কোন অংশেই করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন, কিওয়ার্ড ডেনসিটি এর মতো এইটা যেন আবার বেশি না হয়ে যায়! একটা আর্টিকেল এ ২-৩ বার করাই যথেষ্ট।

রিভিউ 

উপসংহার টানা শেষ করে মানে আর্টিকেল লেখা কমপ্লিট করে আর্টিকেলটা একবার হলেও রিভিউ দেন। পারলে কয়েকবার। দেখেন কোন ভুল আছে কিনা ! তথ্য আরও একটু যোগ করা দরকার কিনা। প্রাঞ্জলতা আছে কিনা। কোন জায়গায় বেশি ভাব বেক্ত করা হয়ে গেছে আবার অন্য জায়গায় সাদা মাটা এই রকম কিনা। এইভাবে রিভিউ দিয়ে আর্টিকেল টারে মানুষ করেন !! ইয়ে মানে, পরিপাটী করে তলুন। ও হ্যাঁ, আর্টিকেল এর মধ্যে ইমেজ যোগ করতে হবে কিনা, এই ব্যাপারটা ও মাথায় রাখুন। ইমেজ যোগ করতে হলে মানানসই ইমেজ যোগ করুন।
এইবার টানতে হবে আমার এই আর্টিকেল এর উপসংহার । তবে উপসংহার টানার আগে কিছু কথা বলে নেয়া জরুরী মনে করছি।
বিশেষত ইংরেজি আর্টিকেল লিখতে গিয়ে অন্যান্য ভাষাধারীদের মতো আমাদের ও সমস্যায় পরতে হয়। তবে তাতে কি হয়েছে !!! থেমে থাকবো নাকি !!!
কক্ষনো না ! ভাষা হল ভাব প্রকাশের মাধ্যম। আর পরিপূর্ণভাবে ভাব প্রকাশের জন্য ভাষার উপর দক্ষতা থাকা ও জরুরী। ইংরেজি তে দুর্বল হলে প্রতিদিন অল্প অল্প করে ডেভেলপ করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ওষুধের ডেইলি ডোজ এর মতো কিছু ইংরেজি টু বাংলা শব্দার্থ শিখুন। কিছু গ্রামার প্র্যাকটিস করুন। হয়ে যাবে ! কি মনে হয়, হবে না ???
আর্টিকেল লিখার জন্য কিছু সিস্টেম এ লিখতে হয়। মানে এক সিস্টেম এ আপনি প্রত্যেক টা আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। লেখা উচিত না। এতে যে আপনার নিয়মিত ভিজিটর রা বিরক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই শুরু, সমাপ্তি, মুল বক্তব্য পেশ এইসব গুলোতে স্টাইল এর বিভিন্নতা আনতে হবে। মাঝে মাঝেই স্টাইল এ চেঞ্জ আনবেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।

Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)