Ad Code

Responsive Advertisement

কেন ওয়ার্ডপ্রেস বেশি জনপ্রিয়? জানেন কি? না জানলে দেখে নিন।

আপনি যদি চিন্তা করেন একটা নতুন ওয়েবসাইট আমার তৈরি করা দরকার। তবে ওয়ার্ডপ্রেস বেস্ট প্ল্যাটফর্ম। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজারের বেশি ওয়েব ডেভেলপার এটি কে আপডেট করছেন। ৭.৫ মিলিয়ন ওয়েবসাইটের ভিতর ১.২ মিলিয়ন মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। কারন প্রতিনিয়ত ডেভেলপাররা এটিকে রঙ্গে-ঢঙে সাজিয়ে তুলেছে। মানুষকে আকৃষ্ট করার মত সাইট তৈরি করতে সাহায্য করে। কেন আপনি এই ওয়ার্ডপ্রেস কে বেস্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নিবেন সেরকম ৬ বিষয় আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। যদি এর থেকে অনেক বেশি সুবিধা আপনি পাবেন তবুও আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো। 

১) সহজ ব্যবহারঃ 
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা যায় খুব সহজে। ওয়ার্ডপ্রেস সার্ভার এর সাপোর্ট সেন্টার খুব একটিভভাবে কাজ করে তাদের ইউজারদেরকে আর তাছাড়া এটা ইন্সটলেশন খুবই সহজ। মাইক্রোসফট পাবলিশার এর মত সহজ ইডিটিং পদ্ধতি এটি। তাই খুব ভালোভাবে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

২) মাল্টিমিডিয়াঃ
শুধুমাত্র টেক্সট ভিত্তিক ওয়েবসাইট আপনাকে বিরক্ত করে দিবে। কিন্তু যখন আপনি একটি মাল্টিমিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবেন তখন আপনি যেমন বিরক্তিকর ব্যাপার থেকে বের হবেন তেমনি আপনার ভিজিটর আপনার লেখা এর সাথে মাল্টিমিডিয়া দেখে কিছু টা আকৃষ্ট হবে। যেমনঃ ম্যাপ, গ্রাফিক্স, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আপনি খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেসে দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই সেটা রিলেভেন্ট হতে হবে। আপনি যদি একটি প্রফেশনাল ফটো স্লাইডার তৈরি করেন তবে দেখবেন ভিজিটর আরও বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। যেহেতু একটা সাইট এর প্রাণ ভিজিটর তাই ভিজিটরকে কিভাবে আকৃষ্ট করা যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

৩) থিমসঃ
 একটা প্রফেশানল থিম একটা সাইটকে চমকপ্রদ করতে অনেক সাহায্য করে। ওয়ার্ডপ্রেসে এই ব্যাপার টা বেশি লক্ষ করা যায়। প্রফেশনাল থিমগুলো ফ্রী তে ইন্সটল করা যায়। আর এটা খুবই সহজভাবে আপলোড করে ইন্সটল করা যায়। সেই সাথে খুব কম দামে থিম কিনতে পাওয়া যায়। যার ফলে ডেভেলপমেন্ট এর খুব একটা প্রয়োজন হয় না। একই সাথে প্রচুর পরিমানে থিম থাকার কারনে আপনি মনের মত একটি থিম নির্বাচন করতে পারবেন। সেই সাথে থিমগুলো আপনি নিজের মত করে কাস্টমাইজ করতে পারেবন। এই একটা কারনে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

৪) প্ল্যাগিন্সঃ 
ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি অসাধারন সিস্টেম প্ল্যাগিন্স। আপনার স্পেসিফিক যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয় তবে আপনি প্ল্যাগিন দিয়ে আপনার চাহিদা পূরণ করতে পারেন। এটা একটি ফাংশনালি সিস্টেম। কিন্তু আপনি খুব সহজেই ইন্সটল করে আপনার সাইটকে সুন্দরভাবে আপনার ভিজিটর কে আকৃষ্ট করতে পারবেন। তবে আপনার মাক্সিমাম প্রয়োজন গুলো ফ্রী তে পাবেন। দেখা যাবে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্ল্যাগিনটি কিনে নিতে হতে পারে। তবে খুব বেশি দাম নয়। আনুমানিক ১০-১২ ডলারের ভিতর এটি পাওয়া যাবে। তবে প্ল্যাগিন কেনার প্রয়োজন হয় কম। এই পদ্ধতি টা শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেসে পাবেন। তাই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহারে এটা একটা সুন্দর পদ্ধতি।

৫) ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসঃ 
অন্যদের চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা ওয়েবসাইট খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর প্রতিটি অপশন ব্যবহার করতে হলে কোন ধরনের কোডিং জানার প্রয়োজন পড়ে না। একজন নুন্যতম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে তার কোন বেগ পোহাতে হবে না।

৬) সম্পূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজডঃ 
শুধুমাত্র ওয়ার্ডপ্রেসেই রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য শতাধিক প্লাগইন্স। যা ওয়ার্ডপ্রেসকে অন্যদের চেয়ে আরো অনেক বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। ওয়েবসাইটের এসইও করতে চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসের কোন তুলনা হয় না। যেকোন ধরনের এসইও এর কাজ আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে খুব দ্রুত ও সঠিক ভাবে করতে পারবেন। এক্ষেত্রেও কোন কোডিং আপনাকে জানতে হবে না।

এই সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বিষয়গুলোকে খুব সহজ ভাবে ভিজিটরের কাছে উপস্থাপনের জন্যই ওয়ার্ডপ্রেস সবার চেয়ে আলাদা এবং জনপ্রিয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ