চীনের
রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচটি নিয়ে
উম্মাদনার কমতি ছিলনা ফুটবলবিশ্বে। উম্মাদনার প্রধান কারণ ছিলো
মেসি-নেইমারকে মুখোমুখী খেলতে দেখা। কিন্তু যাদের নিয়ে এতো উম্মাদনা সেই
মেসি-নেইমার ম্যাচে আলাদা করে উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেনি। বরং দুইজনই সহজ কিছু
সুযোগ নষ্ট করেছেন। ম্যাচের ৪০ মিনিটে তো মেসি পেনাল্টিই মিস করলেন।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ গোলের
জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের পক্ষে দুটি গোলই করেছেন দিয়েগো তারদেল্লি।
ম্যাচের
প্রথমদিকে দারুণ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাঙ্খিত গোল
তুলে নিতে ব্যর্থ হয় মেসির দল। ম্যাচ শুরুর পরপরই দুটি ফ্রি-কিক পেলেও গোল
করতে পারেনি মেসি। ম্যাচের ১৮ মিনিটে ডি মারিয়া ব্রাজিলের গোলমুখে জোড়ালো
শট নিলেও তা গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিটে সার্জিও আগুয়েরোর শটও
বারের উপর দিয়ে চলে গেলে আবারো গোল বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা।
এরপর
ম্যাচের ৩১ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন ব্রাজিল অধিনায়ক নেইমার। একক
প্রচেষ্টায় ৪ জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শেষ পর্যন্ত গোল
করতে পারেননি তিনি।
এর কিছুক্ষন পর আবারো মাঝমাঠের নিচ থেকে বল নিয়ে
একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে হঠাৎ আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ঢুকলেও গোলমুখে শট
নেওয়ার আগেই বল হারান নেইমার।
এরপর ম্যাচের ৪০ মিনিটে সবচেয়ে বড়
বিস্ময়টি উপহার দেন লিওনেল মেসি। ডি মারিয়াকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি
পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বার্সেলোনার
গোলমেশিন লিওনেল মেসি।
মেসির বাঁ পায়ে নেয়া শটটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক জেফারসন। ফলে ১-০ তে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
তবে
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে যাওয়া থেকে রুখতে পারেননি রোমারিও।
তারদেল্লির দ্বিতীয় গোলে ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
0 মন্তব্যসমূহ
এই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji