Ad Code

Responsive Advertisement

আসুন মোবাইল অ্যাপস দিয়ে এবার চোখের চিকিৎসা করি আর অন্ধত্ব কে বলি না ।।

এমন একটা সময় ছিলো যখন মোবাইল ফোন বলতে জানতাম কেবলই কথোপকথন এবং দূরবার্তা বা এসএমএস পাঠানোর যন্ত্র । অনেক আগের কথাও নয় যখন কিনা মানুষের হাতে হাতে এখনের মতো এত মোবাইল ফোন ছিল, ইন্টারনেট তো ছিলো স্বপ্নের মত । আর এখন আন্ড্রয়েড, আইওএস আর উইন্ডোজের মতো অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে রমরমা বাজার । সাথে শত শত মোবাইল অ্যাপস তো আছেই । কি না হয় সেসব অ্যাপস দিয়ে !


এই সব সম্ভব এর মেনুতে এক নতুন সদস্য যোগ হল Portable Eye Examination Kit (PEEK) নামের অ্যাপটি । মনে প্রশ্ন জাগছে কি করা যাবে এটা দিয়ে? এই অ্যাপস দিয়ে হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনটিকে চোখের নিমিষে ছোট্ট একটি মোবাইল চোখের ক্লিনিকে পরিণত করে হাজার হাজার মানুষকে অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়া সম্ভব ।

কি অবাক হলেন? অবাক হবার আগে আর একটু জেনে নিন, সমগ্র পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৩৯ মিলিয়ন অন্ধ মানুষ রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করে । কিন্তু এই অন্ধত্বের হারকে প্রায় ৮০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভম হত যদি কেবলমাত্র তাদের কাছে সময় মতো চিকিৎসা সেবা দেয়া হতো । বর্তমানে অন্ধত্বের বা চোখের চিকিৎসায় যে সকল যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো আকারে অনেক বড় আর তার সাথে দামও অত্যাধিক, প্রায় ১০০,০০০ পাউন্ডের এর কাছা কাছি । কিন্তু প্রায় সমমানের কাজটিই একটি স্মার্টফোনে ক্যামেরা আর প্রসেসিং চিপ দিয়ে করা সম্ভব হচ্ছে মাত্র ৩০০ পাউন্ডে ।


কেনিয়ায় ইতোমধ্যে প্রায় ১০০০ রোগীকে এই অ্যাপটির সাহায্যে পরীক্ষা করানোর পর যথাযত চিকিৎসা দেয়াও সম্ভবপর হয়েছে ।



সবচেয়ে বড় সুবিধার কথা হলো, এই মোবাইল অ্যাপটির ব্যাবহার পদ্ধতিও তেমন কোন কঠিন বিষয় নয় । প্রথমে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রোগীর দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে দেখছেন, তারপর ক্যামেরার সাহায্যে দেখা হচ্ছে চোখে কোনো ছানি পড়েছে কি না । আর সবশেষে পরীক্ষা করা হচ্ছে রোগীর রেটিনা । এভাবে পাওয়া ছবিগুলোকে পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় নিকটবর্তী কোনো হাসপাতালে । সাথে সাথে জিপিএস প্রযুক্তির সহায়তায় রোগীর অবস্থানও সনাক্ত করা যাচ্ছে যাতে করে পরবর্তীতে তার কাছে সঠিক চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয় ।

সমগ্র পৃথিবীতে অন্ধত্বের হার কমাতে, বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এসব প্রযুক্তির ব্যাবহার যে বিরাট আশীর্বাদ হয়েই আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ