সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি ভাইরাসের পরিবর্তে অন্য কোনো প্রযুক্তির কথা চিন্তা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে জনপ্রিয় নরটন অ্যান্টি ভাইরাসের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমেন্টেক। বর্তমানে সারা বিশ্বে সাইবার হামলার ঘটনা বৃদ্ধি হার বেরে গছে কয়েক গুন।
হাকিং বা সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ গ্রাহক বিভিন্ন কোম্পানির অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করছেন। কিন্তু ওইসব অ্যান্টি ভাইরাস প্রযুক্তি কার্যকারিতা হারাচ্ছে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে সিমেন্টেক।
হ্যাকাররা সাইবার হামলা পরিচালনার জন্য নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অ্যান্টি ভাইরাস প্রযুক্তি হ্যাকারদের এ হামলা ঠেকাতে এখন আর অতটা কার্যকর নয়।
দুনিয়া ব্যাপী বিপুল পরিমাণ কম্পিউটার ডিভাইসে নরটন অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এ কম্পিউটারের অনেকগুলোই হামলার শিকার হচ্ছে। শুধু যে নরটনের অ্যান্টি ভাইরাসই হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তা নয়। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টি ভাইরাস গুলোও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে।হ্যাকাররা অধিকাংশ সময়ে বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল করে এবং তারপর হামলা চালায়। এতদিন জাবত অনেকেই ভাবতেন, তার কম্পিউটার ডিভাইসে থাকা অ্যান্টি ভাইরাসটি এ ধরনের সব ভাইরাসকে প্রতিহত করবে। কিন্তু সিমেন্টেকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকেরও এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করছে।
সিমেন্টেক তাদের প্রথম অ্যান্টি-ভাইরাস বাজারে ছাড়ে ১৯৮০ সালে। সে সময় অ্যান্টি-ভাইরাসই যে কোনো হামলা ঠেকাতে সক্ষম ছিল। বিশেষজ্ঞরা একটি বিশেষ ও শক্তিশালী ডাটাবেইজের মাধ্যমে যে কোনো হামলা প্রতিরোধ করতে সক্ষম ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার অপরাধীদের সক্ষমতা ১৯৮০ সালের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবস্থার বেশকিছু উন্নয়ন করা হলেও তা সাইবার অপরাধীদের প্রযুক্তির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। আর এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে হতাশা তৈরী হচ্ছে।
2 মন্তব্যসমূহ
বাপরে বাপ এ তো ভয়ংকর বেপার
উত্তরমুছুনকঠিন সমস্যা ।।
উত্তরমুছুনএই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji