বিজ্ঞানীরা ফেলে দেওয়া সিগারেটের ফিল্টার দিয়ে অনেক বড় আকারের এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেক্ট্রিক চার্জ সঞ্চয় করতে সক্ষম সুপার ক্যাপাসিটার (Super capacitor) তৈরি করতে চলেছে । এই সুপার ক্যাপাসিটার এর কাজ ব্যাটারির মত হলেও এর ক্ষমতা হবে অনেক বেশি । গবেষকরা ইতি মধ্যে সকল গবেষণা শেষ করেছেন এবং এই সুপার ক্যাপাসিটার তৈরির পক্রিয়া চলছে ।
প্রতি বছর প্রায় ৫.৬ ট্রিলিয়ন সিগারেটের ফিলটার ছুড়ে ফেলা হয় আবর্জনা হিসেবে যা পরিবেশ দূষিত করছে এবং এর ওজন প্রায় ৭,৬৬,৫৭১ মেট্রিক টন । বিজ্ঞানীরা এই আবর্জনা থেকে ভালো কিছু করার কথা ভাবছে বেশ আগে থেকেই । বিজ্ঞানীরা এই আবর্জনা থেকে এমন এক উপাদান আবিষ্কার করেছেন যা দিয়ে সুপার ক্যাপাসিটার (Super capacitor) এর বৈদ্যুতিক তার তৈরি হবে এবং অনেক বেশি পরিমানে এনার্জি সঞ্চয় করা যাবে ।
সুপার ক্যাপাসিটার-এ চার্জ কেমিক্যাল রিএয়াকশন এর বদলে ইলেকট্রিক চার্জ এর মাধ্যমে চার্জ সঞ্চয় করে রাখে যেমন ব্যাটারিতে চার্জ থাকে । এর ফলে চার্জ সঞ্চয় এবং নির্গমন অনেক দ্রুত হয় । বিজ্ঞানীরা সব সময়ই ভালো মানের সুপার ক্যাপাসিটার তৈরির চেষ্টা করে চলেছে । এর জন্য তারা কার্বন কে বেছে নিয়েছে কারন কার্বন এর খরচ কম, এর স্থায়িত্ব অনেক বেশি এবং তাপ ও তড়িৎ সঞ্চালন শক্তি অধিক ।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন সিগারেটের ফিল্টার থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কার্বন তৈরি করা যাবে । যা দিয়ে প্রকৃতি কে বাচিয়ে সমাজের ইলেক্ট্রিক শক্তি চাহিদা পুরন করা যাবে ।
সিগারেটের ফিল্টারে কৃত্রিম সেলুলোজ সির্কাম্লদ্বারা জারিত তন্তু থাকে । গবেষকরা ফিল্টারের বিষাক্ত এবং অজীবাণুবিয়োজ্য তন্তু কে পাইরলিসিস (pyrolysis) নামে পরিচিত ওয়ান স্টেপ বার্নিং পদ্ধতিতে কার্বনে রুপান্তর করেছেন এবং বাজারে পাওয়া যাওয়া যেকোনো কার্বনের সাথে এই কার্বনের ইলেকট্রন ধরে রাখার ক্ষমতা পরিক্ষা করেছেন যেখানে দেখা গেছে এই নুতন আবিষ্কৃত কার্বন অনেক বেশি ইলেকট্রন ধরে রাখতে পারে এবং অনেক দ্রুত তা নির্গমন করতে পারে ।
4 মন্তব্যসমূহ
আরে বাপরে বাপ কি চিন্তা ভাবনা, অসাধারন
উত্তরমুছুনতাহলেই বুঝেন ।
মুছুনআর সিগারেট পান করবো না....যাতে ক্যাপাসিটর না বানাতে পারে
উত্তরমুছুননা না্ সিগারেট না খাইলে কেমনে কি?
উত্তরমুছুনএই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji