মাকড়শার জাল শুধু মাত্র তার আবাশ স্থল হিসেবে ব্যবহার হয় তা নয় বরং তার শ্রবণ মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে।
ভোঁর বেলার কুয়াশা আচ্ছাদিত মাকড়শার জাল প্রকৃতি প্রেমী ও ফটোগ্রাফির জন্য সব সময় প্রাধান্য পেয়ে থাকলেও এবার বিজ্ঞানীরা সেই জালের মাঝে এক সাংকেতিক ভাষা খুজে পেয়ছে যা মাকড়শা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছে। যাকে অন্য ভাবে বিজ্ঞানীরা মাকড়শার একস্টিক গীটার বলছেন। সত্যি এক অনন্য পর্যবেক্ষণ এই বিজ্ঞানী দলের।
মাকড়শার জাল অনেক উঁচু মানের ও নিখুঁত শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করতে পারে। আর এই শব্দ তরঙ্গ মাকড়শাকে তার রাজ্য (জাল) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অনবরত দিয়ে যায় এবং তার শিকারের অবস্থান নির্ভুল ভাবে নিরুপন করতে সাহাজ করে।মাকড়শার জালের বুনন শৈলী সত্যি অসাধারণ। একই সাথে এই জালের শক্তি ক্ষমতা এবং এর নমনীয়তা বিজ্ঞানীদের বরাবরই ভাবনায় ফেলে দেয়। মাকড়শা তার এই তরঙ্গ কৌশল ব্যবহার করে কারন সে চোখে খুবই কম দেখে যার ফলে এই তরঙ্গ দিয়ে সে তার জাল এবং শিকারের নিয়ন্ত্রণ রাখে। মাকড়শার আটটি পা এই শব্দ তরঙ্গ কে নিরুপন করে থাকে।
আজকের পর থেকে হয়তো যখনি মাকড়শার জাল দেখবেন তখন এমনি ভাবেই এই বিজ্ঞানীগুলোর মতন ভাবতে শুরু করবেন। ভাবতে ভাবতে দেখেন নিজেই কিছু আবিষ্কার করে ফেলেন কিনা। ভাল থাকুন আর একটু অন্য ভাবে ভাবনা শুরু করুন।
1 মন্তব্যসমূহ
খুব ভাল লাগলো
উত্তরমুছুনএই লিখা সম্পর্কে কোন মতমত থাকলে মন্তব্যে করে জানালে উপকৃত হব। ধন্যবাদ।
Emoji